আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবীকে আরবদের বংশোদ্ভূত ও আরবি ভাষাভাষি করে পাঠিয়েছেন। এটা সত্য যে পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর জীবনচরিত বিক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হয়েছে।
মানববংশ প্রক্রিয়ায় রাসুল (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে একজন রাসুল এসেছে…। ’ (সুরা : তওবা, আয়াত : ১২৮)
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বৈধভাবে বিয়ের মাধ্যমে আমার জন্ম হয়েছে। আদম (আ.) থেকে আমার বাবা-মা পর্যন্ত কেউ জাহেলি যুগে প্রচলিত ব্যভিচারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেননি। ’ (তাবরানি ও ইবনে কাসির)
মহানবী (সা.)-এর জন্মের পূর্বাভাস আগের সব নবীকে দেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করো, যখন আল্লাহ নবীদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন যে আমি কিতাব ও জ্ঞান-প্রজ্ঞা যা কিছু তোমাদের দান করেছি, অতঃপর (যদি) তোমাদের কিতাবকে সত্যায়নকারী স্বরূপ তোমাদের কাছে কোনো রাসুল (মুহাম্মদ সা.) আসেন, তখন তোমরা অবশ্যই সে রাসুলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সাহায্য করবে। ’ তিনি বলেন, ‘তোমরা কি (এ বিষয়ে) অঙ্গীকার (স্বীকার) করেছ এবং এ শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বলল, আমরা অঙ্গীকার (স্বীকার) করেছি। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৮১)
মহানবী (সা.)-এর ভাষা, বংশ ও শহর সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘এভাবে আমি তোমার প্রতি আরবি ভাষায় কোরআন অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি মক্কা ও তার আশপাশের লোকদের সতর্ক করতে পারো। ’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত প্রসঙ্গ : রাসুলুল্লাহ (সা.) শ্রেষ্ঠতম মহামানব ছিলেন। তবে তিনি অতিমানব ছিলেন না। ইন্দ্রিয় অনুভূতি ও মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণেই তাঁর জীবন ছিল। তিনি হাঁটতেন। বাজারে যেতেন। খাওয়াদাওয়া করতেন। স্ত্রীদের সঙ্গে শয্যায় যেতেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, আমি তো তোমাদের মতো একজন মানুষই, তবে আমার প্রতি ওহি অবতীর্ণ হয়…। ’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ১১০)
মানুষ মাত্রই মরণশীল। রাসুলুল্লাহ (সা.) যেহেতু মানুষ ছিলেন, তাই তাঁর মৃত্যুবরণ করাই স্বাভাবিক। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। ’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৩০)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘মুহাম্মদ একজন রাসুল মাত্র; তার আগে বহু রাসুল গত হয়েছে। সুতরাং সে যদি মারা যায় অথবা নিহত হয়, তবে কি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে?’ (সুরা : আলে ইমরান : ১৪৪)