ইন্দোনেশিয়ায় বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুরুতেই তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশটির সরকারের এই নীতি।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, করোনায় যেহেতু বয়োজ্যেষ্ঠরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে, সেখানে তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো যাবে না।
করোনাভাইরাসের মহামারিতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইন্দোনেশিয়া। দেশটির আট লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষের সংক্রমণ শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৩৪৩ জনের। মহামারি মোকাবিলায় চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের উদ্ভাবিত টিকা করোনাভ্যাক প্রয়োগ শুরু করছে দেশটি।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া ইন্দোনেশিয়ার টিকাদান কর্মসূচি চলবে মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত। ১৩ লাখ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর পাশাপাশি এক কোটি ৭৪ লাখ সরকারি কর্মী-পুলিশ, সেনা সদস্য, শিক্ষক এবং আমলা-বিনামূল্যে টিকা পাবেন। তারপরে দেশটির প্রাপ্তবয়স্করা টিকা পাবেন।
ইন্দোনেশিয়ার বহু মানুষ এই নীতির সমর্থন করলেও বিশেষজ্ঞেরা এর সমালোচনা করছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাদিয়া উইকেকো আলজাজিরাকে বলেন, ‘বয়োজ্যেষ্ঠদের পাশাপাশি উৎপাদনশীল জনশক্তির কথা মাথায় রেখে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের টিকা দিচ্ছি। আমরা বয়োজ্যেষ্ঠদের শরীরে সিনোভ্যাকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করিনি।’
ইন্দোনেশিয়া সরকারের টিকাদান নীতির পক্ষে যারা যুক্তি দিচ্ছেন, তারা বলছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় বয়স্কদের বেশির ভাগ ঘরেই থাকেন। কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।