বাংলাদেশ আল-কায়েদার হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। আজ বুধবার রাতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে পম্পেওর বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলেও আখ্যায়িত করেছে।
সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, আল-কায়েদার সেল বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো হামলা তা তিনি উল্লেখ করেননি। তবে ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোগসূত্র আছে বলে তত্কালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে। তবে বাংলাদেশ বরাবরই তা প্রত্যাখান করে আসছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এমন বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অগ্রহণযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মিথ্যাচার বাংলাদেশ প্রত্যাখান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ার নীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ থাকলে বাংলাদেশ এ বিষয়ে কাজ করতে সানন্দে রাজি আছে। কিন্তু অনুমানের ভিত্তিতে যদি তিনি এ বক্তব্য দিয়ে থাকেন তবে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার রাতে ইরান-আল-কায়েদা যোগসূত্র নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকির কথা ভাবুন। ইসরায়েল, সৌদি আরবের প্রতি হুমকির কথা ভাবুন। লিবিয়া, ইয়েমেন ও মাগরেবের মতো স্থানগুলো আল-কায়েদার উপস্থিতিতে পুরোপুরি ভেঙে পড়া বা বাংলাদেশ—যেখানে আল-কায়েদা সেলগুলো হামলা চালিয়েছে সেখানে অশান্তি বাড়ার জোরালো সম্ভাবনার কথা ভাবুন।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পেও সেখানে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ইরান-আল-কায়েদা বিরাট অপশক্তি দেখতে আপনাদের সিআইএর সাবেক পরিচালক হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য মুক্ত রাষ্ট্রগুলোর জন্য ইরান-আল-কায়েদা যোগসূত্রকে গুড়িয়ে দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন সত্যিকারের অগ্রগতি অর্জন করেছে।