খুলনার খালিশপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক দাসকে নিয়ে ফেসুবকের দেওয়া এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেখে তাকে সম্মাননা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
মঙ্গলবার রাতে তিনি মোবাইল ফোনে অশোক দাসের সাথে যোগাযোগ করেন। বুধবার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক দাসকে গাড়িতে করে ডিসি অফিসে নিয়ে আসেন তিনি।
পরে বিস্তারিত ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে অবহিত করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া জেলা প্রশাসক তাকে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর প্রদানের পদক্ষেপ নেন।
একই সাথে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রাপ্তির আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন। জেলা প্রশাসক অসহায় পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা ও তার স্ত্রীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
তার তাৎক্ষণিক মহানুভবতায় অশোক দাস অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। তিনি অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকলে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। জেলা প্রশাসকের মানবিক এই উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছেন সকলে।
ফেসবুকে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসটি ছিল, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি খুলনার খালিশপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক দাসের। বয়সের ভারে কিছুটা নুয়ে পড়েছেন। ১৯৭১ সালে ভারতের বনগাঁতে ট্রেনিং শেষে তিনি বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ৮ নম্বর সেক্টরে তিনি কাজ করেছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সনদ পর্যন্ত পাননি। একসময় ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। এখন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা খালিশপুর চিত্রালী বাজারে ফুটপাতে পুরাতন জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি করে সংসার চালান। দিনের বেলায় মানুষের বাড়ি থেকে জুতা-স্যান্ডেল সংগ্রহ করেন। সন্ধ্যায় ফুটপাতে বসেই সেগুলো বিক্রি করেন।’