নোয়াখালীর বসুরহাট (কোম্পানীগঞ্জ) পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় যথেষ্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে তিনি নিজে বা তার নেতাকর্মীদের উদগ্রীব হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টেলিফোনে যুগান্তরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসপি এসব কথা বলেন। এ সময় কথা হয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম খানের সঙ্গেও।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, বসুরহাট পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করার পর থেকেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। এমনকি তার বাসা ও অফিস পুলিশ পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শুধু মির্জা আব্দুল কাদের নয়, অন্য মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিরাপত্তায়ও পুলিশ যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, অন্য সব নির্বাচন থেকে পুলিশ এ নির্বাচনকে বিভিন্ন কারণে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বসুরহাট পৌরসভায় বিভিন্ন প্রবেশপথে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া বাহিরের কাউকে পৌর এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না। তাছাড়া ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে কাউকে অবৈধ তো দূরের কথা বৈধ অস্ত্র নিয়েও ঢুকতে দেয়া হবে না।
এ সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম খান জানান, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক ৯ কেন্দ্রের জন্য ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশের পাশাপাশি র্যা বের ৩টি টিম ও ৪ প্লাটুন বিজিবি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।