বলিউডের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। ২০২০ সালে করোনার থাবায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, তেমন অভিশপ্ত বছরেও তিনটি সিনেমা মুক্তি, সেসঙ্গে বছরের সেরা অভিনেতার স্বীকৃতিও অর্জন করেছেন এ অভিনেতা।
গেল বছরে আর সব অভিনেতা যখন আবার কবে শুটিং ফ্লোরে ফিরবেন তার অপেক্ষায় ছিলেন, তখন একের পর এক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর। বছরটিতে তার মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হলো- ঘুমকেতু, রাত আকেলি হ্যায় এবং সিরিয়াস মেন।
এমন সুসময়ে নওয়াজুদ্দিনের সাফল্যের মুকুটে আরও একটি স্বর্ণপালক যোগ হয়। নেটফ্লিক্সের সিনেমা ‘রাত আকেলি হ্যায়’-এর জন্য বছরের সেরা অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার ট্রফি লাভ করেন তিনি।
গৎবাঁধা একই ফরমুলার সিনেমা আর গতানুগতিক ‘বলিউড হিরো’র ধারণা একদমই পছন্দ করেন না নওয়াজুদ্দিন। এখনকার দিনে দুর্দান্ত মারপিটের দৃশ্য খুব একটা চলে না। টিকে থাকতে হলে বাস্তব অভিনয়টাই করতে হবে বলে মনে করেন ‘সিরিয়াস মেন’ অভিনেতা। আর কাহিনি-নির্ভর সিনেমার জন্য প্রশস্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেল বছরে সাফল্য নিয়ে কথা বলেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। তিনি বলেন, তিনটি সিনেমার মুক্তি আর একটি পুরস্কার জয় করা মানেই বছরটা আমার জন্য খুব সহজ ছিল বলে মনে করবেন না। একজন ব্যক্তি হিসেবে আমার জন্যও খুব কঠিন ছিল সময়টা। তবে অবশ্যই বলব, অভিনেতা হিসেবে এটা একটা সফল বছর ছিল।
বলিউডের নায়কদের যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত দর্শক, সে ধারণাটা পাল্টে দিয়েছেন নওয়াজুদ্দিন। তিনি গতানুগতিক বলিউড হিরো নন। তিনি একজন অভিনেতা। তার ভাষায়, বলিউডে এমনটা সবসময়ই ছিল। গতানুগতিক ধারায় একজন নায়কের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। তবে, দিন পাল্টেছে। অনেকদিন ধরেই নির্মাতারা এই গৎবাঁধা ধারা থেকে বেরিয়ে আসছেন। ফরমুলা অনুযায়ী সিনেমা বানাতে হবে – এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে ‘বলিউড হিরো’ ধারণাটা বদলে যাচ্ছে। নায়কের ধারণা দিনদিন হালকা হয়ে আসছে। আগামী বছরগুলোতে এটা একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
‘লকডাউনের সময় সারাবিশ্বের মানুষ ঘরে বসে সিনেমা দেখেছেন। তাদের একটু বেশিই প্রত্যাশা ছিল। আর এসময় তাদের ভিন্ন ভিন্ন গল্প ও চরিত্র উপহার দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটা দারুণ,’ যোগ করেন তিনি।