সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার অর্থ ঋণ মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম নামের এক পলাতক মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার বিকালে শহরতলীর বাটকেখালী (বাগানবাড়ি) এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সিআইডি ওই মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। পরে সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরতলীর বাটকেখালী (বাগানবাড়ি) এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম তার মাছ কোম্পানীর (করমন্ডল) জন্য ১৯৮৪ সালে প্রথম ৬০ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে আরো কয়েক দফায় ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করার পর বকেয়া টাকা না দেওয়ায় টাকা পরিশোধের জন্য তাকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরও টাকা পরিশোধ না করায় ১৯৯৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক কাজী হাফিজুর রব বাদি হয়ে আট কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে সিরাজুল ইসলামের নামে যুগ্ম সহকারি জজ প্রথম আদালতে এনআইএক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
বিগত ২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ১৫ কোটি ২২ লাখ ৯২ হাজার ১৬৪ টাকার ডিক্রি জারি করে বিচারক মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন। ওই বছরের পহেলা জুন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থ ঋণ আদালতে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার মামলা করেন। আদালত সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় মামলা জারি করেন। মামলায় তার কাছে ১৭৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া দেখানো হয়। পলাতক থাকাকালীন রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন জানান, সাজা হওয়ার পর সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন পলাতক ছিল।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় বলেন, সিআইডি পুলিশ সোমবার বিকেলে মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করার পর বিকেল ৫টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।