আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি কখনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেননি।
তিনি ছিলেন একজন ক্রীড়ানুরাগী, ক্রীড়া সংগঠক। অতি অল্প সময়ে তিনি ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় সংগঠক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছিলেন।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় বনানী কবরস্থানে জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আরাফাত রহমান কোকোকে হত্যা করা হয়েছে। মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ে নির্মমভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই নির্যাতনের ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
কবর জিয়ারত ও ফাতিহা পাঠের সময় মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন, বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম নকি, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক।
এসময় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্চাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া জাতীয় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।