সুস্থ থাকলে হলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই প্রোটিন রাখতে হবে। প্রোটিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ডিম, মাছ ও মাংস ছাড়াও প্রোটিনের উৎস হতে পারে উদ্ভিজ্জ খাবার। প্রাণিজ উৎস বাদে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারেন কিছু খাবার দিয়ে। আমরা অনেকে জানি না যে আমাদের এলে কী খাবার খাওয়া উচিত।
প্রোটিন যতটুকু প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মানুষের শারীরিক ওজনের প্রতি কেজির বিপরীতে শূন্য দশমিক ৮ থেকে শূন্য দশমিক ১০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন প্রতিদিন।
আসুন জেনে নিই কী খাবেন-
আমরা সাধারণত মুরগির মাংস ও ডিম খেয়ে থাকি। এ ছাড়া গরু, খাসি, কবুতর, কোয়েল পাখি ইত্যাদির মাংসও আছে খাদ্যাভ্যাসে।
পুষ্টিগত বিবেচনায় মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়াই থাকে মূল উদ্দেশ্য, যা মুরগির মাংস ও ডিম থেকে পূরণ করায় কোনো ক্ষতি নেই। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা প্রাণিজ উৎসের খাবার বাদ দিতে চান।
আবার ‘বার্ড ফ্লু’য়ের আতঙ্ক থেকেও অনেকে মুরগির মাংস ও ডিম খেতে চান না।
আসুন জেনে নিই কী খাবেন
১. পালংশাক, বক চই, মসুর ডাল ও শাক, ফুলকপি, মাশরুম, মটরশুঁটি, ভূট্টা ও ব্রকলিতে পাবেন উচ্চ মাত্রার প্রোটিন। ফলের মধ্যে কলা, পেয়ারা, জাম, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি থেকে প্রোটিন মিলবে।
২. খেতে পারেন বাদাম ও বীজ ধরনের খাবার। এ ধরনের খাবারে ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’ মিলবে প্রচুর। পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রতিদিন একমুঠো পরিমাণ বাদাম কিংবা বীজজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত সবার।
৩. প্রোটিনের আরেকটি উৎস হচ্ছে শস্যজাতীয় খাবার। যব, ‘কিনোয়া’, বার্লি, গম ইত্যাদি শস্যজাতীয় খাবারের মধ্যে আদর্শ প্রোটিনের উৎস।
লেখক: আখতারুন নাহার আলো, প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল।