করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকার আরেকটা জালিয়াতির সার্টিফিকেট চালু করেছে। যারা ভ্যাকসিন নেবে তাদের একটি সম্মতিপত্র বা অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।
তার নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, আইডি নম্বর— এটা দিয়ে দিতে হবে যে, ভ্যাকসিন নিলে পরে কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে না। ’
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে তার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘মানুষের মনে তো সন্দেহ আরও ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। একটা ভ্যাকসিন দেবেন, সেটা সব গবেষণায় উত্তীর্ণ হবে যে, তা নেওয়ার পর এ করোনা ভাইরাস আমাকে আক্রমণ করবে না। সেখানে অঙ্গীকারনামা কেনো? সেখানে সম্মতিপত্র কেনো? সেখানে সই দেবে কেনো? জনগণ এখন আরও সন্ত্রস্ত। ’
তিনি বলেন, ‘ভারত নিজের দেশের লোককে এই ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। মার্চ মাসে ট্রায়াল করবে। বাংলাদেশের মানুষ কি তেলাপোকা, ব্যাঙ, গিনিপিগ? ভারতের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে। এরপর করে ওরা দেখবে, এরা বাঁচে না মরে, এরা অসুস্থ হচ্ছে না সুস্থ হচ্ছে। সেটা দেখে তারপর নিশ্চিত হবে। এরপরে ভিআইপিরা দেবেন, এরপরে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী দেবেন। ’
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সংসদে দেওয়া শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘কোয়ালিটি এডুকেশন তো শেষ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এসএসসি-এইচএসসিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেছে খাতায় কিছুই লিখতে পারেনি। দুই বছর আগের ঘটনা। শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে ধ্বংস করেছে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন করা হলে তারা গরুর রচনার দিকে চলে যান। বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকেন। ’
বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক।