পরীক্ষা ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নের ফল প্রকাশের আইনি বাধা চূড়ান্তভাবে কেটে গেছে। এ–সংক্রান্ত সংশোধিত আইন সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিল তিনটিতে সম্মতি দিয়েছেন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তার বলছেন, এইচএসসি মূল্যায়নের ফল সরকারনির্ধারিত তারিখে প্রকাশ করা হবে।
তবে এর আগে আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা ফল প্রকাশের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে পারেননি।
পরীক্ষা ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আইন সংশোধনের প্রস্তাব রোববার সংসদে পাস হয়েছে। রোববার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ তিনটি পৃথক বিল পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংসদে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল- ২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১ বিল’ উত্থাপন হলে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবের পক্ষে সমস্বরে ‘হ্যাঁ’ বলেন। পরে স্পিকার জানান, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে, তথা বিল পাস হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ১৯ জানুয়ারি সংসদে বিল তিনটি তোলার সময় বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ফল ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে, বিল পাস হলেই তা দ্রুত প্রকাশ করা যাবে।
ফল প্রকাশ হওয়ার পর এই শিক্ষার্থীদের স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
১১ শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। ওই সব শিক্ষার্থীর অপেক্ষার পালা শেষ হলো।