অনলাইন ডেস্কঃবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রহীনতা ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। আর এ কারণে বাংলাদেশ এখন সন্ত্রাসের ব্যাধিতে আক্রান্ত।
গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দফা একতরফা উপজেলা নির্বাচনে জনগণ কোনো সাড়া দেয়নি। কারণ বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনকে জনগণ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না।
তিনি দাবি করেন, এ সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধী দলহীন একদলীয় শাসনই এ সরকারের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা।
তাই দেশকে বিরোধী দলহীন করার জন্য সরকার তার সরকারি যন্ত্রকে যত্রতত্রভাবে ব্যবহার করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নিশ্চিহ্নকরণের যাবতীয় উদ্যোগ আয়োজনে কোনো কমতি নেই, বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটারবিহীন উপজেলা নির্বাচনে দখলদারিত্ব নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নিজেরাই খুনখারাপিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মধ্যরাতে ব্যালটবাক্স ভর্তি করে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ে দূর্বৃত্তরা। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন নেতারা স্থানীয় ক্ষমতা দখল করতে হিংসা-প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় রক্ত ঝরাচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে জনপদের পর জনপদে রক্তগঙ্গা বইছে। সরকার হুমকি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সন্ত্রাসের ব্যাধিতে আক্রান্ত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বেআইনি সন্ত্রাসী হামলায় দলমত নির্বিশেষে যে কোনো মানুষের মৃত্যুকেই আমরা ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করি এবং এর বিরুদ্ধে সবসময় তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার।
প্রসঙ্গত গত সোমবার রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা দুটি গাড়িতে ব্রাশফায়ার করে। এতে অন্তত সাতজন নিহত হন।