খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও জাপার নগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার ৩নং সাক্ষী নিহতের ভ্রাতুষ্পুুত্র শেখ মনিরুজ্জামান এলু ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো এ আদেশ দেন। গত ২৬ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে শেখ মনিরুজ্জামান এলু মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাক্ষীর পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা চেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নিকট আবেদন করেন শেখ মনিরুজ্জামান এলু।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, জাপা নেতা কাশেম হত্যায় যিনি বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তিনিই খুন হয়েছেন। ২৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার শেখ আসাদুজ্জামান লিটু তার জীবদ্দশায় কাশেম হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেন। ময়লাপোতা থেকে গল্লামারী পর্যন্ত তিনি অবরোধ কর্মসূচিও আহবান করেন। কাশেম হত্যা মামলায় বিচার চাওয়ায় আসাদুজ্জামান লিটু নিহত হয়। নিহত লিটু জাপা নেতা আবুল কাশেম হত্যা মামলার ২নম্বর স্বাক্ষী। কমিশনার লিটু হাজী বাড়ির শেখ আবুল খায়েরের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট নিহত হন। আর শেখ আবুল খায়ের দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে খুন হন। শেখ মনিরুজ্জামান এলু নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ হাজী বাড়ির শেখ আবুল খায়েরের মেঝো ছেলে।
প্রসঙ্গত্ব, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুরে স্যার ইকবাল রোডে বেসিক ব্যাংকের সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিখাইল মারা যান। খুলনা থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ওপর। দীর্ঘ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন পর খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার জাপা নেতা শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, সাক্ষী ম্যাজিস্টেট সবির আহমেদ চোখে অপারেশন হওয়ায় তিনি স্বাক্ষ্য দিতে আসতে পারেননি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মার্চ।