যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় মুকুল হোসেন (৩২) নামে যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এরা হলো, উপজেলার শিরিলি মদনপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে টিপু সুলতান, একই গ্রামের ইনতাজ আলীর দুই ছেলে দিপু হোসেন ও রায়হান হোসেন, কাশিপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের দুই ছেলে আসাদুল ইসলাম ও সাজেদুল ইসলাম।
মুকুল হোসেনকে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার শিরিলি মদনপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তিনি ওই এলাকার আমিন মোড়লের ছেলে। তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে। তার নামে মণিরামপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে ৮টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
নিহতের স্ত্রী লায়লা খাতুন বলেন, মুকুল আগে মাদকের কারবার করলেও গত দুই বছর আগে তিনি সব ছেড়ে দেন। এরপর তিনি ঘেরের ব্যবসা শুরু করেন। মাঝেমধ্যে যশোর শহরে রডের কাজ করতেন। শুক্রবার রাতে তিনি সাড়াপোল বাজারে ছিলেন। তখন ইনতাজ আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম মোবাইলফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন তাকে। এরপর তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এদিকে, মুকুল হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা আমিন মোড়ল বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলো, শিরিলি মদনপুর গ্রামের মোন্তাজ আলী, তার ছেলে টিপু সুলতান, মোন্তাজের চার ভাইপো দিপু হোসেন, রায়হান হোসেন, সাদেক আলী ও রাশেদ হোসেন। এদেরমধ্যে টিপু, দিপু ও রায়হানকে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, একটি সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩-৪দিন আগে শিরিলি মদনপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোন্তাজকে মারপিট করে মুকুল। শুক্রবার রাতে মোন্তাজের বাড়ির পাশে নিজের মাছের ঘেরে যায় মুকুল। এসময় তিনি মোন্তাজের ছেলে টিপুর চোখে টর্চ লাইট মারেন। এ নিয়ে গোলযোগের এক পর্যায়ে টিপুর মা এগিয়ে এলে তার মুখে চড় মারেন মুকুল। এরপর মোন্তাজ আলীসহ বাড়ির অন্যদের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়। এখানেই খুন হয় মুকুল। ওইসময় টিপু ও দিপু আহত হয়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার এসআই জিয়াউল হক বলেন, ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা। এর মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মূল রহস্য জানা গেছে।