শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এইচএসসির ফল পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ নেওয়া টাকার কিছু অংশ ব্যয় হয়েছে, বাকি টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হবে। সে জন্য ফলাফল প্রকাশের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’ এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নের ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে আজ শনিবার শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসএসসি ও জেএসসির রেজাল্ট নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশ করার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এ জটিলতা নিরসনে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে ২৪ জানুয়ারি আইন পাস করে জাতীয় সংসদ। করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত আইনগুলো পাস করা হয়।
সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রাতে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। এর আগে সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর সেগুলো আইনে পরিণত হয়।
সব শঙ্কা ও জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মহামারি আতঙ্কে পার করা বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হলো আজ। এবার করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ফল প্রকাশিত হলো। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হয়নি। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জমায়েত না হওয়ার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।