ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, দেশে এখন একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছে। সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। নাগরিক ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে যেভাবে সম্পদ চুরি ও লুটপাট হচ্ছে, তা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের এক জেলা সভাপতিই কেবল দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে।
আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেলে খালিশপুর গোয়ালখালী সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলন ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত হাতপাখার প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, আওয়ামীলীগ ৩০ ডিসেম্বর নির্লজ্জের মতো গণতন্ত্রের বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করেছে। কিন্তু এ দেশের জনগণের কাছে এ দিনটি ভোটাধিকার হরণের কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। কারণ দেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এই দিনে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
চরমোনাই পীর কর্মীদের উদ্দেশ্যো করে বলেন, একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মীদের যোগ্য, দক্ষ ও তাকওয়ার গুণে গুণান্বিত হতে হবে। যেকোন ত্যাগ ও কুরবানির মানসিকতা অন্তরে লালন করতে হবে এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য দিতে হবে। কোন প্রকার লোভ-লালসা যেন খেলাফতকামী কর্মীদেরকে আচ্ছন্ন করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রচলিত জাহেলী সমাজ পরিবর্তন করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত উন্নত সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি করে যারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে তাদরে বয়কট করতে হবে। সৎ ও আল্লাহভীরু নেতা ছাড়া ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। আল্লাহভীরু শাসক প্রতিষ্ঠা না থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্রের যে কী দূরাবাস্থা তা বর্তমান সমাজব্যবস্থা দেখলে বুঝা যায়। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থীদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ ‘র সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন এবং জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর হাফেজ মাওঃ অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওঃ আব্দুল্লাহ ইমরান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতী মাহবুবুর রহমান, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, শেখ জামিল আহমেদ, মাওঃ আবু সাইদ, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, ডাঃ কেএম আল আমিন এহসান, মাওঃ ইমরান হোসাইন, মাওঃ মাহবুবুল আলম, মাওঃ মুজিবর রহমান, মাওঃ আসাদুল্লাহ হামিদী, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, ডাঃ নাসির উদ্দিন, মাওঃ হারুন, মাওঃ আশরাফুল, মাওঃ আব্দুস সাত্তার, ফেরদাউস গাজী, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মাওঃ হাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, এসকে নাজমুল হাসান, জিএম কিবরিয়া, হুমায়ুন কবীর, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, হাফেজ আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব আবু তাহের, মাওঃ শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, সরোয়ার বন্দ, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, মুফতী আওসাফুর রহমান, কাজী তোফায়েল, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ শফিউল ইসলাম, হাফেজ খায়রুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মাওঃ হেলাল উদ্দিন শিকারী, গাজী মুরাদ হোসেন, যুব আন্দোলনের আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজী, মুফতী আমীরুল ইসলাম, মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র নেতা এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, নাজমুস সাকিব, মোঃ মইনুল ইসলাম, ইব্রাহিম ইসলাম আবীর, এনামুল হাসান সাইদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেষে চরমোনাই পীর আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খুলনার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা ও পরিচিতি করে দেন।