আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা।
শনিবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বড়ভাই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন আবদুল কাদের মির্জা।
আগের নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ মনে করেন?- এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বলেন, এর আগে কিছু কিছু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। সব নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এটা ঠিক না। বাংলাদেশে ভোট চুরির রাজনীতি এটা শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ, না ভোটের মাধ্যমে। ১৯৯১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যে নির্বাচন হয়েছে তা নিরপেক্ষ হয়েছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসছে। আর মাগুরার নির্বাচনসহ যত নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে একটা নির্বাচনও বিএনপির আমলে নিরপেক্ষ হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে অনেক দৃষ্টান্ত আছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সেই নির্বাচনগুলোতে বিএনপি বলছে যে, ১২টার পর ভোট কারচুপি হয়েছে! বলছে না? কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল সেখানে বিএনপি জয় লাভ করেছে। আজকে চৌমুহনীর ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। আমি মিথ্যা কথা বলতে পারব না, হাতিয়াতে সুষ্ঠু হয়নি। আমি গতকালকে (শুক্রবার) স্পষ্ট বলেছি, চৌমুহনীতে কোনো অনিয়ম করা হলে নোয়াখালীর ডিসি, এসপিকে দায়ী থাকতে হবে। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
কাদের মির্জা বলেন, আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) প্রতি আস্থা আছে, শতভাগ আস্থা আছে। আমাদের নেত্রী যে নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। নেত্রীর নীতি-নৈতিকতা আছে। কখনো কথা বলে তা থেকে সরে যাননি। বাংলাদেশে নেত্রীর যে উন্নয়ন এটা বিশ্বের রোল মডেল। ৭০ হাজার মানুষের মধ্যে ঘর বিতরণ করেছেন, এটা বিশ্বের মধ্যে নজিরবিহীন। এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন? শেখ হাসিনা আগামী তিন বছর ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে কোনো কাজ আর বাকি থাকবে না। আমরা চাই শেখ হাসিনা এখন থেকে পরিকল্পনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।