পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে একসময় ভুলত্রুটি ছিল। সেটি এখন অনেকটাই কমেছে। জনপ্রতিনিধিরা এখন দরিদ্র মানুষ বাছাইয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার বলে আমিও মনে করি। সেই চেষ্টা অবশ্য চলছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) ও বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে শনিবার তিনি এ কথা বলেন।
‘কোভিড ১৯ : সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মফিদুল ইসলাম, অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হুমায়ুন কবীর, এনজিও সংগঠক শাহ মবিন জিন্নাহ, মমতাজ আরা বেগম, এসএম হারুন আর রশিদ লাল, ড. জাহিদ মাসুদ, শিক্ষক রাবেয়া বিনতে করিম প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, কোভিডের কারণে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এজন্য ভাতার পরিমাণ বাড়ানো দরকার। এখন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এটাকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। ভাতা বাড়াতে আমার চেষ্টা থাকবে। কোভিডের সময় যারা বিধবা হয়েছেন, তাদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
মূল প্রবন্ধে ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, কোভিড ১৯-এর কারণে নতুন করে অসংখ্য মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। তাদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। সেটি করতে হলে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে।