হাজারো মানুষের ঢলে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা ও মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলুর আব্বা আলহাজ্ব আমানউল্লাহ গাজী। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গত মাসে জানুয়ারিতে ব্রেন স্টোকের কারনে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, সন্তান সন্ততি, সর্বপরি মানুষকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র, ৪ মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এর আগে সফল ইউপি সদস্য ও বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক আমানউল্লাহ গাজীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ কয়রা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর খবর শুনে মরহুমের বাড়ীতে ছুটে যান খুলনা-৬ (কয়রা- পাইকগাছা) জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু, জেলা আ,লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলী, পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ উদ্দিন বুলু, এমএম আজিজুল হাকিম, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন, কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম বাহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক এসএম হারুন অর রশিদ, সংস্কৃতি সম্পাদক প্রভাষক শাহাবাজ আলী, কোষাধাক্য মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, আঃ সাত্তার পাড়, নুরুল ইসলাম সরদার, সাবেক চেয়ারম্যান সদরউদ্দীন আহমেদ, ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর পরপরই মহুর্তের মধ্যে কয়রা উপজেলার সর্বস্তরের নারী, পুরুষ এক নজর দেখার জন্য তার বাসভবনে ভীড় করেন। এ সময় শেষ বিদায়
জানাতে আসা মানুষের চোখের জ্বলে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরে বিকাল ২টা ৩৫ মিনিটে নিজ বাসভবনে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামায পরবর্তী আমানউল্লাহ গাজীর বর্ণাঢ্য জীবনের উপর স্মৃতি চারন করে বক্তব্য রাখেন, মাওঃ আবুল কালাম, জাকারিয়া হোসাইন, ইলিয়াজ হোসেন, মাওঃ আঃ বারি, হাফেজ
বায়েজিদ হোসেন, মাওঃ ইউনুস আলী, মাওঃ শাহাবাজ আল্ধীসঢ়;। এসময় কযরা উপজেলার হাজার হাজার সর্বস্তরের মানুষ জানাযায় অংশ গ্রহন করেন। জানাযা শুরুর আগে আমনউল্লাহ গাজীর বড় পুত্র উপজেলা আওয়ামীলগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা তার প্রয়াত আব্বার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনাসহ কোন অপরাধ বা ভুল ত্রুটি করে থাকলে মাফ করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানন। এবং বলেন, আমার আব্বার কাছে কারও কোন দেনা পাওনা থাকলে তারা তা পরিশোধ করবেন।