সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করলে হাত পুড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। তাই জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করবেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
‘হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার ৩৪ নেতাকর্মী, পাবনায় ৪৭ নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘ফরমায়েশি সাজা’ দেওয়া এবং দলের বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর রায় বলেন, এখন ঘরে ঘরে খুনি, মাফিয়া, দখলদার ও ধর্ষক। আমি বলব– জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু ছাড়া বাংলাদেশে বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা নেই।’ শুধু সরকার টিকে থাকার জন্য এসব করছে।
তিনি বলেন, এত মামলা, হত্যা-গুম? আমরা বলতে চাই– কোনো স্বৈরাচার সরকার কখনই ক্ষমতা ছাড়ে না, তাকে ক্ষমতা ছাড়াতে হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, কেউ আপনাকে অধিকার দেবে না, অধিকার আদায় করতে হবে। আমাদের হলো আদায়ের বিষয়, জনগণ ফুঁসে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ এই জনগণের দাবির তোড়ে, আন্দোলনে একদিন সব স্বৈরাচার সরকারের মতো এই সরকারেরও পতন হবে।’
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এ পদক এই সরকার দেয়নি। এই পদক স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনগণ ভালোবেসে জিয়াউর রহমানকে দিয়েছে। আর আপনারা (সরকার) আইন দেখান। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দিয়ে লাভ হবে না। দুই বছরের সাজা দিয়ে আপনারা কী অর্জন করলেন?’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।