উইন্ডিজের ৪০০ ছাড়ানো ইনিংসের জবাবে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা খেললেন ওয়ানডে স্টাইলে। অতি আগ্রাসী হতে উইকেটও দিলেন বিলিয়ে।
এই দুরবস্থার দায় ব্যাটসম্যানদেরই। অন্তত এমনটাই মত তামিম ইকবালের।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চলতি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন খেলে আগের দিনের ২২৩ রানের সঙ্গে আরও ১৮৬ রান যোগ করে উইন্ডিজ। সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। এই সময়ে সফরকারীরা হারিয়েছে বাকি ৫ উইকেট।
কিন্তু জবাব দিতে নেমে ১১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ও নাজমুল হাসান শান্ত তো উইকেট বিলিয়ে আসেন। এরপর তামিম ইকবাল ও মুমিনুল ৫৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করলেও পরপর দুই ওভারে বাজে শট খেলে বিদায় নেন।
চট্টগ্রামের মতো ঢাকা টেস্টেও ব্যাটিংবান্ধব পিচ দেখা গেল। উইন্ডিজ তো রীতিমত রানের উৎসব করেছে। বাংলাদেশি স্পিনাররা তেমন চাপই তৈরি করতে পারেননি। এমনকি বাংলাদেশ ইনিংসেও উইন্ডিজের বোলিং তেমন আহামরি ছিল না। কিন্তু স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা যেন উইকেট বিলানোর মিছিল শুরু করেন।
ব্যাটিং পিচে ১০৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং পিচে এমন হুড়মুড় করে উইকেট হারানোর দায় নিজেদের কাঁধেই তুলছেন তামিম, ‘উইকেট বেশ ভালো ছিল। আমরা যখন নামলাম তখনো ভালোই ছিল। যে ৪টি উইকেট পড়েছে তা ওদের ভালো বোলিংয়ের কারণে হয়নি। এগুলো ব্যাটসম্যানদেরই ভুল ছিল। ‘
তামিম নিজেই ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেছেন। ফিফটি থেকে ৬ রান দূরে থামার আগে। বল খেলেছেন মাত্র ৫২টি। ৪ মেরেছেন ৬টি আর ছক্কা ১টি। কিন্তু দিনের শেষ বেলায় ধীরেসুস্থে খেলার পথ নেন মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুন। এর মধ্যে মুশফিক ৬১ বল খেলে করেছেন ২৭ রান আর মিঠুন ৬ রান করতে খেলেছেন ৬১ বল।
মুশফিক ও মিঠুন যেভাবে খেলেছেন তাতে আশার আলো দেখছেন তামিম, ‘৪ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে কাল ১০০ বা ১৫০ রানের জুটি গড়তে পারলে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারব। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রথম সেশন। ওই সেশনে উইকেট হারালে বিপদ। আমাদের ৪ উইকেট নেই। ফলে ব্যাটিং বেশি নেই। এই জুটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আশা করি ওরা ভালো জুটি গড়ে তুলতে পারবে। ‘