সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতারা।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যারা কাউকে খেতাব দিতে পারে না, তাদের বাতিলের ক্ষমতাও নেই।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলে জামুকা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তার বক্তব্যের পরপরই সমাবেশে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, জিয়াউর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। তার খেতাব আপনারা বাতিল করতে চান?
‘জামুকার কোনো এখতিয়ার নেই এই খেতাব বাতিলের। সেই সময়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই খেতাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাস করতে চাই তাদের নতুন করে কাউকে খেতাব দেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না? এটা তাদের নাই। অতএব বাতিল করার ক্ষমতাও জামুকার নাই।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, যারা চেষ্টা করছেন বাতিল করার জন্য, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নাই। শেখ হাসিনার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য আজকে যখন জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, তখন এই ষড়যন্ত্র। আমি সবাইকে আহবান জানাব, আগামী দিনে এই সরকারের পতনের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হোন। আজকে আমি সেই আন্দোলনের ডাক দিচ্ছি।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশটা ভাষণে স্বাধীন হয় নাই, দেশটা স্বাধীন হয়েছে যুদ্ধে। সেই মুক্তিযুদ্ধের অপর নাম জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, জিয়ার খেতাব নিয়ে আমরা ব্যবসা করি না, আমরা গর্ববোধ করি। আমি সবাইকে বলি, ও খেতাব নিয়ে টানাটানি করুক, সবাই মিলে আমরা ওর গদিটা ধরে টান দেই। ওখান থেকে নামিয়ে নিতে পারলে সব হিসাব-নিকাশ একদিনে চুকে যাবে।