বাগেরহাটের মোল্লাহাটে গভীররাতে চুরি করতে গিয়ে চুরির সরঞ্জান ও ধারালো ছুরিসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছে দুর্ধর্ষ বাবলু মোল্লা ওরফে রাজেন নামের সুঠাম দেহের এক যুবক। উপজেলার হাড়িদাহ গ্রামের খ্যাতনামা ফয়েজ হজুরের বাড়িতে তদবীর নিতে আসা রোগিদের মোবাইল, টাকা ও গহনা চুরিকালে শুক্রবার গভীররাতে হাতেনাথে ধরা পড়ার এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবক বাবলু মোল্লা ওরফে রাজেন পাশ্ববর্তী চরকুলিয়া গ্রামের আলাল মোল্লা ও আলেয়া দম্পতির ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে চুরি ও ছিনতাই করে চলেছে বলে পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধে এলাকার অনেকে জানান।
ফয়েজ হুজুর জানান-তার কাছে অনেক দুর-দুরান্ত থেকে অসুস্থ্য গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষ তদবীর নিতে আসে। দুরের মানুষ-জন তার নিজের বাড়ি সহ আশ-পাশের মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকেন। ওই সকল রোগিদের থেকে টাকা ও মোবাইল চুরিকালে অনেকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন চোর বাবলু’কে। এরপর স্থানিয় চৌকিদারসহ অনেকে উপস্থিত হণ। পরে মোল্লাহাট থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানিয় চৌকিদার/গ্রাম পুলিশ মনিরুজ্জামান জানান-হুজুর অসহায় মানুষ জনের চিকিৎসার জন্য তদবীর দেন। দুরের অনেকে এসে হুজুরের বাড়ি আশ্রয় নেন চিকিৎসা (তদবীর) নেয়ার জন্য। ওই সকল রোগিদের চেইন, দামী মোবাইল ও টাকা চুরি হয়ে থাকে। এছাড়া স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে পর্যায়ক্রমে ১০টি বাই-সাইকেল চুরি হয়েছে। গত রাতে এ চোর (বাবলু ওরফে রাজেন) হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ চোর (রাজেন) কয়েক জনকে (যারা ধরেছে) দেখে নেওয়ার হুমকী দিয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনিসহ এলাকাবাসী এর যথাযথ বিচার দাবী করেন।
বাবলু ওরফে রাজেন বলেন-তিনি চুরি করতে এসে ছিলেন এবং ধারালো ছুরি ও চুরির সরঞ্জাম তার কাছে ছিলো। তিনি একা চুরি করতে এসে ছিলেন বলেও দাবী করেন।
বাবলুর পিতা আলাল মোল্লা জানান-তার ছেলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ অনেকবার থাকলেও চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা এই প্রথম।
মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ কাজি গোলাম কবীর বলেন-এঘটনার যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।