পাতানো ম্যাচের সন্দেহে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কাছে জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ইতোমধ্যে উত্তর দিয়েছে। আরামবাগ দেবে আগামীকাল (শনিবার)।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার ও বাফুফের নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আমের খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ১৮ তারিখ ফেডারেশন থেকে চিঠি পেয়েছি। এবং ওই দিন ফেডারেশনকে উত্তর দিয়েছি। ফেডারেশনের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি, সুনির্দিষ্ট কি অভিযোগ রয়েছে এবং কি জানতে চায় তারা। ফেডারেশনের চিঠিটি আমাদের কাছে সুস্পষ্ট নয়। আমরা এখনো ফিরতি চিঠি পাইনি।’
ফেডারেশনের পাতানো ম্যাচের চিঠির উত্তরে ব্রাদার্সের ফিরতি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ মহিউদ্দিন আহমেদ মহী। তিনি আবার বাফুফের সহ-সভাপতিও।
অন্য দিকে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ১৯ ফেব্রুয়ারি চিঠি পেয়েছি। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলেছে ফেডারেশন। আজ ম্যাচ থাকায় ব্যস্ত ছিলাম। আগামীকাল সকালের মধ্যে উত্তর দেব।’
চিঠির সম্ভাব্য উত্তর সম্পর্কে আরামবাগের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ফেডারেশনকে বলব গভীরভাবে তদন্ত করতে। আরামবাগ ক্লাব ফেডারেশনকে এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ দুই ক্লাবের অবস্থান সম্পর্কে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এএফসিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। এর ভিত্তিতে কাজ করছিলাম। আমরা সন্দেহযুক্ত দুটি ক্লাবকে আগেই চিঠি দিয়েছি। একটি ক্লাব (ব্রাদার্স) উত্তর দিয়েছি, আরেকটি ক্লাবের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। এই বিষয়ে আমরা কয়েকটি চিঠি চালাচালি করব।’
অভিযুক্ত পাঁচ ম্যাচ:
১৯ জানুয়ারি: ব্রাদার্স ইউনিয়ন বনাম ঢাকা আবাহনী
২৩ জানুয়ারি: বসুন্ধরা কিংস বনাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন
১৭ জানুয়ারি: আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ বনাম মোহামেডান স্পোর্টিং
৯ ফেব্রুয়ারি: শেখ রাসেল বনাম আরামবাগ
১৩ ফেব্রুয়ারি: আরামবাগ বনাম ঢাকা আবাহনী