প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন এক প্রজাতি বা ধরন ধরা পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে, যা অতিদ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। এমনকি শরীরে অ্যান্টিবডি থাকলেও এ প্রজাতি সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় দেশের স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশনা দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, যেহেতু ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসায় বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারত যাচ্ছেন। সেজন্য যেকোনো সময় বাংলাদেশে এ প্রজাতির ভাইরাস আসতে পারে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও নতুন প্রজাতি আসতে পারে, হয়তোবা এসেছেও। এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। নতুন করে ভারত থেকেও আসতে পারে। সে জন্য স্বাস্থ্য বিধিটা পরিপূর্ণভাবে সবসময় মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, যে কোনো সংক্রামকব্যাধী এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে পারে। তার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপগুলো জোর দিয়ে অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, সংক্রমণ নিয়ে আসতে পারে এমন লোকদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা এবং স্থল, নৌ, বিমানবন্দরগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। দেশের ভেতরে যদি সংক্রমণ হয়, সেটা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা রাখা, সেগুলোর সার্ভিলেন্সের ব্যবস্থা রাখা, এগুলো জোর দিয়ে করতে হবে।
আমরা যদি সবাই নিজ নিজ জায়গায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে পারি, তাহলে শুধু করোনার নতুন প্রজাতি নয়, যেকোনো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হব।
ড. মুশতাক হোসেন, উপদেষ্টা-আইইডিসিআর
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ডা. শাহরিয়ার মোহাম্মদ রোজেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) বেশ বিপজ্জনক। এ ধরনটির সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি, অর্থাৎ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ স্ট্রেইন ভারতেই উৎপত্তি হয়েছে; যুক্তরাজ্য বা সাউথ আফ্রিকা থেকে আসেনি। ভারতের অমরাবতীতে দৈনিক সংক্রমণের হার হঠাৎ করে আকাশছোঁয়া হওয়ার কারণে (শতকরা শনাক্তের হার ৫৩) ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনটির উৎপত্তি ভারতেই।
তিনি বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন এ ধরনটির মধ্যে ‘প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়ানোর কৌশল’ রয়েছে। এ মুহূর্তে সম্পূর্ণ নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন হলেও, যারা আগে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের আবার নতুন ধরনটিতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও নতুন ধরনটি টিকার কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য, সাউথ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং ভারতে ‘অধিক সংক্রমক্ষম’ নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেল। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিপক্ষে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার পরিমাণ কমলেও টিকা অনেকটাই কার্যকর হবে।
নতুন প্রজাতির সংক্রমণে টিকা কতটা কার্যকরী হবে জানতে চাইলে ডা. শাহরিয়ার মোহাম্মদ রোজেন বলেন, কিছুদিন আগে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্যের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিপক্ষে কার্যকরী হলেও, সাউথ-আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এই অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা খুবই সীমিত। একারণে ভারত খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।
‘ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বলে এটি অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশের বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকে হবে, যেহেতু আমরা জানি যে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সাউথ আফ্রিকার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিপক্ষে পর্যাপ্ত কার্যকারিতা দেয় না।
দেশে করণীয় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উচিত বেশি পরিমাণে জিনোম সিক্যুয়েন্সিং করা, যাতে করে আমরা অন্য দেশ থেকে প্রবেশ করা ‘অধিক সংক্রমণক্ষম স্ট্রেইন’ দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। অধিক পরিমাণ জিনোম সিক্যুয়েন্সিং করার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।
একদিকে যেমন অধিক সংক্রমক্ষম স্ট্রেইন আবির্ভূত হচ্ছে, অন্যদিকে ফার্মসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তাদের টিকার উন্নয়নে অনবরত কাজ যাচ্ছে। মর্ডানা নতুন ভ্যারিয়েন্টেগুলোর বিপক্ষে বেশি প্রতিরক্ষা দেওয়ার জন্য বুস্টার ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করছে। অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা আশা করছে অক্টোবরের মধ্যে তারা সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের বিপক্ষে কার্যকর ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পারবে। তবে ভারতের নতুন স্ট্রেইনটি সম্প্রতি শনাক্ত হয়েছে বলে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবে মন্তব্য করা কঠিন।
‘নতুন এ ধরনের বিপক্ষে ভারত বর্তমানে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে যা তাদের পরে কৌশল নির্ধারণ করতে এবং টিকার কার্যকারিতার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সাহায্য করবে।’— যোগ করেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ও জনস্বাস্থ্যবিদ ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত এক সপ্তাহে হঠাৎ করে মহারাষ্ট্রসহ দক্ষিণ ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। গত কয়েক মাস ধরে পাঁচ হাজারের বেশি সংখ্যক মিউটেশন অ্যানালাইসিস করে হায়দ্রাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজির গবেষকরা ধারণা করছেন যে ভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের পেছনে নতুন ধরনের মিউটেশন ‘এন-৪৪০-কে’ দায়ী। এ মিউটেশনটি ঘটেছে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে।
তিনি বলেন, মিউটেশনটি প্রথম পাওয়া গেছে গত বছরের শেষের দিকে। কিন্তু, গত একমাসে এ নতুন স্ট্রেইনটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ ভারতে, সেই সঙ্গে সংক্রমণও বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানিরা বলছেন যে এই মিউটেশনটির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া মিউটেশনের চারিত্রিক কিছু মিল রয়েছে। অর্থাৎ এ নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে। রি-ইনফেকশন করতে পারে এবং মূল করোনাভাইরাসের বিপরীতে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি এ মিউট্যান্ট ভাইরাসকে নিস্ক্রিয় করতে পারে না। এ ধরনের মিউটেটেড ভাইরাসগুলো সাধারণত ভ্যাকসিনবিরোধী হয়ে থাকে। এটাই হচ্ছে শঙ্কার মূল কারণ।
টিকার কার্যকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোভিশিল্ড টিকা এ নতুন ভ্যারিয়্যান্টের ওপর কতটুকু কার্যকর তা এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, তবে ভারতীয় বিজ্ঞানিরা এ বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, এ মিউটেশনের কারণে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। অর্থাৎ, অক্সফোর্ডসহ সব ভ্যাকসিনই এ কেন্ট মিউটেশনের ওপরে কাজ করছে।
নতুন সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশের করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণশীল ও ভ্যাকসিন-রেজিস্ট্যান্ট স্ট্রেইনের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারা হবে সবচেয়ে কার্যকরী উদ্যোগ। আর এর জন্য লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা সবাইকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে দুটি স্যাম্পল টেস্ট করতে হবে। সব পজিটিভ স্যাম্পলকে জেনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে মিউটেশন স্ট্যাটাস চেক করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সম্প্রতি সব দেশকে জেনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে তাগিদ দিয়েছে।
কোভিশিল্ড টিকা দেওয়ার পরও যদি কেউ কোভিডে আক্রান্ত হন, তবে তাদের স্যাম্পল সিক্যুয়েন্সিং করতে হবে। কারণ, এক্ষেত্রে সংক্রমণ টিকা-রেজিস্ট্যান্ট ভাইরাস দিয়ে হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম, জনস্বাস্থ্যবিদ
তিনি আরও বলেন, যারা দ্বিতীয়বার কোভিডে আক্রান্ত হবে তাদের স্যাম্পল অবশ্যই সিক্যুয়েন্সিং করতে হবে। কারণ রি-ইনফেকশন অনেক ক্ষেত্রেই মিউটেটেড ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে। যেহেতু আমাদের জেনোম সিক্যুয়েন্সিং সক্ষমতা কম, সেহেতু হাই-রিস্ক কেসগুলোকে সিক্যুয়েন্সিং করতে পারলে অন্ততপক্ষে দেশে করোনাভাইরাসের মিউটেশনের একটা সার্ভেইল্যান্স হয়ে যাবে। এ সময়টাতে ভাইরাস মিউটেশনের দিকে কঠোর নজর রাখা জরুরি। কারণ ভ্যাকসিন অনেক মিউটেশনের ক্ষেত্রেই অকার্যকর।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের প্রধান রণদীপ গোলেরিয়ার বরাতে বার্তা সংস্থার মাধ্যমে ঢাকায় এ খবর এসেছে। গোলেরিয়া জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে এ প্রজাতিটি প্রথম ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২৪০ জনের শরীরে নতুন এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।
টিকা নিলেও বিদেশ যেতে লাগবে করোনার নেগেটিভ সনদ
করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজ নিলেও বিদেশ যেতে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলক সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল থেকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেতে হয়। দেশত্যাগের ৭২ ঘণ্টা অথবা গন্তব্য দেশের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করতে হয়।
যারা করোনার দুটি ডোজ নেবেন, তাদের ক্ষেত্রে বিদেশ যেতে সনদ লাগবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘অবশ্যই লাগবে। যে দেশে যাবে তারা এটা দেখতে চাইবে, সে ডাবল ডোজ নিয়েছে কি না ও কতদিন আগে নিয়েছে। এ বিষয়টি অবশ্যই লাগবে এবং ডাবল ডোজের সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে বিদেশে যেতে হলে।’
টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট নয়, ডাবল ডোজ নেওয়ার পর নেগেটিভ সনদ লাগবে কি না-এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘লাগবে, জি লাগবে।’
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারের কেনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে টিকা নেওয়া নিয়ে নানা ভয়ভীতি ও প্রশ্ন তোলা হলেও এখন টিকা নিচ্ছেন দেশের মানুষরা।
২৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৩ জন
ইতোমধ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে গত ১৪ দিনে টিকা নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৩ জন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৩০ জনের মধ্যে। আর টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩৬ লাখের বেশি মানুষ।’
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এখন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ৭ লাখ ২১ হাজার ১৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নিয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৩৫২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়েছেন ৫ লাখ ৬০ হাজার১৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ ৮১ হাজার ৫৮৩ জন, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩০ হাজার ১৫০ জন, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১ লাখ ২০ হাজার ৬১১ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬০ জন।
তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা পেতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা। দেশে টিকার প্রথম চালান আসে ২৫ জানুয়ারি। এর আগে উপহার হিসেবে বাংলাদেশে পাঠানো ভারত সরকারের ২০ লাখ টিকা পৌঁছায় ২১ তারিখ।
সর্বশেষ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভারত থেকে আসে ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকা। সব মিলিয়ে তিন দফায় মোট ৯০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে এসেছে।