বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আশিক (২৫) নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার ভিডিও ভাইরাল হলে সোহেল খান নামে এক ইউপি মেম্বরসহ ৪ জনের নামে বৃহস্পতিবার রাতে মোড়েলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-২৫, তারিখ-২৫.২.২০২১।
সোহেল খান উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর ও বড় জামুয়া গ্রামের মৃত খলিল খানের ছেলে।
জানাগেছে, পার্শ্ববর্তী জিয়ানগর উপজেলার চরনী পত্তাশী গ্রামের কবির আকনের ছেলে আবদুস সবুর আকনের একটি মোবাইল ফোন মঙ্গলবার চুরি করে নেয় ওই এলাকার একাধিক মামলার আসামি মেম্বর সোহেল খানের ছোট ভাই রুবেল খান। চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য বুধবার দুপুরে রুবেলের বড়ভাই এবং ইউপি মেম্বর সোহেল খানের স্মরনাপন্ন হতে তার বসতবাড়ি যান মোবাইল মালিক আবদুস সবুরের বন্ধু চরনী পর্ত্তাসী গ্রামের আশিক জোমাদ্দার। বিষযটি সোহেল খানকে অবহিত করে মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের দাবি করলে তা নিয়ে আাশিক ও সোহেল খানের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটি ও বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সোহেল খানের নির্দেশে তার বাহিনী আশিককে আটক করে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। গুরুতর আহত আশিককে উদ্ধার করে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে মারপিটের দৃশ্যটি কেউ মোবাইল ফোনে ভিডিও করে বৃহস্পতিবার “চিংড়াখালী বাজার” নামক একটি আইডি থেকে ফেসবুকে পোষ্ট দিলে ঘটনাটি ভাইরাল হয় এবং প্রশাসনের টনক নড়ে। পুলিশ একাধিক মামলার আসামি সোহেল খান ও তার সহযোগীদের আটকের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান।
পুলিশ সোহেলের বাড়ি তল্লাশী করে কয়েকটি রামদা ও হকি ষ্টিক উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।