সাতক্ষীরা তালার সিনিয়ার সাংবাদিক এম এ ফয়সাল চিহ্নিত মাদকসক্ত কর্তৃক লাঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুর্বৃত্বরা সাংবাদিক ফয়সাল’র ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের চাবি, ২ টি মোবাইল ফোনসহ টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরে মোবাইল ও চাবি ফেরত দিলেও টাকা ফেরত না দিয়ে জীবন নাশের হুমকী দিয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক ফয়সাল বাদী হয়ে তালা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ীতে ফেরার পথে হরিহরনগর গ্রামের দিদারুল গোলদারের বাড়ীর সন্নিকটে এই ঘটনা ঘটে। হরিহরনগর বাজার থেকে তালার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে হরিহরনগর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার ছেলে মিলন গোলদার (৩৬), ওলিয়ার গোলদারের ছেলে সুমন গোলদার (৩৫), মুকুন্দপুর গ্রামের মুনছুর শেখের ছেলে আজমীর শেখ (৩২) ও পাইকগাছার মালত গ্রামের আহম্মদ মোড়লের ছেলে জুয়েল হোসেন (৩৪) তার গতিরোধ করে মটরসাইকেলের চাবি, মোবাইল ও ৫২৩০ টাকা ছিনতাই করে নেয় ও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে মোবাইল ও চাবি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুবৃত্বরা সাংবাদিক ফয়সালকে জীবন নাশের হুমকিও দিয়ে যায়। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক ফয়সাল।
তালার হরিহরনগর গ্রামের দিদারুল গোলদার জানান, আমি সহ সাংবাদিক ফয়সাল পঙ্গু ইউছুপের বাড়ীতে যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে বাজারে চা-পান করে আমার বাড়ী পর্যন্ত তাকে এগিয়ে দিয়ে আসি। এ সময় সাংবাদিককে বিদায় দিয়ে আমি জরুরী প্রয়োজনে আমার দোকানে ফিরে যাওয়ার জন্য কিছুদুর এগোতেই অনাকাংখিত এমন ঘটনা ঘটে।
পঙ্গু ইউছুপ মোড়ল জানান, সাংবাদিকরা আমার মত অসহায় মানুষের সংবাদ পেপারে দিয়েছে, আমি সাংবাদিককে আসতে বলেছি, তাই সে আমার কাছে এসেছে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে । আমার এলাকার বখাটেরা এমন ঘটনোতে আমি লজ্জিত।
সাংবাদিক ফয়সাল জানান, হরিহরনগর বাজার সংলগ্ন সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু ইউছুপ মোড়লের অসহায়াত্বের সচিত্র একটি প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ করি। উক্ত পত্রিকার নিউজ কাটিং গুলি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট তার আর্থিক সহায়তার জন্য জমা দিই। জেলা প্রশাসক মহোদয় তার আর্থিক সাহায্যের জন্য সদয় হয়ে পঙ্গু ইউছুপের সাম্প্রতিক মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেন। তারই প্রেক্ষিতে ইউছুপের বাড়ীতে যাওয়া। সাংবাদিক ফয়সাল আরও বলেন, আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনে খুব ভয়- ভীতির মধ্যে আছি। আসামীরা খুবই দূর্দান্ত ও নেশাগ্রস্থ। যে কোনো সময় আমার উপর আবারও আক্রমন হতে পারে।
তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রনব ঘোষ বাবলু জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকরা অসহায় মানুষদের পাশে থাকবে, যে কোন দুর্ঘটনায় প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াবে, তা রাত হোক বা দিন হোক। এ আমি তীব্র নিন্দা জানায়। কোন ক্রমেই দুর্বৃত্বদের ছাড় দেওয়া হবেনা।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।