পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ৭নং গৌরীপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বসবাস মতিয়ার রহমান আকনের। মতিয়ার রহমান আকন পেশায় একজন অটো রিক্সা চালক।স্ত্রী সন্তান নিয়ে ৫ জনের সংসার।
পৈত্রিক বসত ঘর মতিয়ার রহমান আকনের পিতা মতিয়ার রহমান আকনের বড় ভাই মজিবর রহমান মিলনকে লিখে দিয়ে যায়।
বড় ছেলেটি প্রথমে নেছারাবাদ মাদ্রাসায় পড়াশুনা করিলেও অর্থাভাবে সেখানে নিয়ে এসে ভান্ডারিয়ার নিয়াজ মাখদুম মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ানোর জন্য ভর্তি করায়, ছোট ছেলেটিও হাফেজি পড়ে।
বিভিন্ন এন.জি.ও থেকে ঋন নিয়ে স্বাবলম্ভি হওয়ার আশায় একটি মুরগির ফার্ম দিয়েছেছিল। কপাল যদি সাথ না দেয় তবে কি আর করার। সে মুরগির ফার্মেও সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। অন্যদিকে এনজিও এর চড়া সুদ দিতে দিতে মতিয়ার রহমান আকনের স্বপ্ন ভুলণ্ঠিত।
অতঃপর মতিয়ার রহমান আকনের দুঃরাবস্থা দেখে ভান্ডারিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড নিবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলী আকরাম জোমাদ্দার মতিয়ার রহমান আকনকে একটি অটোরিক্সা কিনে দেন। এখন বড়শা ঐ অটোরিক্সা। সারাদিন অটোরিক্সা চালিয়ে যা আয় হয় তাহা দিয়ে এনজিওর ঋন শোধ করার জন্য অর্থ রেখে বাকী অর্থ দিয়ে সংসারের ভরন পোষন কোন রকমে চলে যায়।
মতিয়ার রহমান আকনের দুরাবস্থা দেখে মতিয়ার রহমান আকনের বড় ভাই মোঃ মজিবুর রহমান মিলন তাহার ঘরের বারান্দায় তাহাকে থাকার অনুমতি দেয়। আর দুই ছেলে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান হিরুর ঘরে রাত্রি যাপন করে। এভাবেই চলতে থাকে মতিয়ার রহমান আকনের দিন রাত।
একাধিকবার মতিয়ার রহমান আকন ঘরের আবেদন করিলেও মতিয়ার রহমান আকনের ভাগ্যে মিলেনি সরকারী ঘর। মুজিববর্ষে যখন প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিলেন একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবেনা তখন আশার বুক বেধে স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ মালেক হাওলাদারের দারস্থ হন। ইউপি সদস্যের সাথে আলাপকালে তিনি জানান তিনি তালিকা করে ঘরের জন্য তালিকা জমা দেন। তবুও জোটেনি মুজিববর্ষের ঘর।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে আক্ষেপের সহিত জানায় মুই একখান ঘর পামুনা। হক্কলরে ঘর দেয় মোর দোষ কি?