গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বীমা কোম্পানিগুলোকে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বীমা নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি এড়াতে এ খাতের সবাইকে সতর্ক থাকারও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (১ মার্চ )গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতেই শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের বীমা দিবসে যে প্রতিপাদ্য নেওয়া হয়েছে সেটা হলে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার বীমা হোক সবার’। এই প্রতিপাদ্যটি যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি, এবং সেজন্য সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলফা ইনস্যুরেন্সে চাকরির সুযোগে সারা দেশে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। ওই বিমা কোম্পানিতে থাকার ফলে মানুষকে সচেতন করতে পেরেছিলেন তিনি। কোম্পানির কাজে ঢাকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ পেতেন বঙ্গবন্ধু। এ বিমাশিল্পে আমাদের দলের বহু লোককেই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিকে বলে তাজউদ্দীন সাহেবকে সেখানে নিয়ে আসেন তিনি। সেই সঙ্গে আনেন মোহাম্মদ হানিফকেও। এখানে বসেই কিন্তু ছয় দফা রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কাজেই এটা শুধু একটা বিমা কোম্পানিই নয়, আমাদের রাজনৈতিক জীবনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।’
শেখ হাসিনা বলেন, বীমা মূলত একটি সেবামূলক পেশা। এ সেবাকে জনপ্রিয় করাসহ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিমা কোম্পানির মাধ্যমে যাতে দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের লক্ষ রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন ‘সেই বিষয়টা আপনারা খেয়াল রাখবেন বলে আমি আশা করি, কারণ একটা মানুষের সেবা দেওয়া, আর মানুষ একটা আমানত রাখছে। কিন্তু সেটাকে আবার অন্যভাবে যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে। সেই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।”
সরকার প্রধান মনে করেন, দেশের অর্থনীতি যত বেশি শক্তিশালী হবে, বিস্তৃত হবে, মানুষ সচেতন হবে। বীমার গুরুত্বটাও কিন্তু ততটা বাড়বে। বীমা থাকলে যে মানুষ দুঃসময়ে সুবিধা পায়, সে বিষয়টি তুলে ধরে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেন সরকার প্রধান।
বীমা নিয়ে কিছু মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মানসিকতা আছে কিছুটা, সেটা হলে অনেকেই বীমার যে প্রিমিয়ামটা দিতে হয়, ওইটুকু টাকা দিতে হয়, সেটা খরচ করতে চান না। পরে যখন দুর্ঘটনায় পড়েন, তখন এর গুরুত্বটা বোঝেন।’
বীমা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার পাশপাশি অনুষ্ঠানে এ শিল্পের বিকাশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।