রামপালে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ৪১ জনের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বিএনপি নেতা আক্তার চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি ও রয়েছেন। রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদের ১০ চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন মোট ৪১ জন। এর মধ্যে উজলকুড় ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছেন জনপ্রিয় বিএনপি নেতা আক্তার চেয়ারম্যান হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজী আছাফুর জামান (বাবুল)। মামলা সূত্রে জানাযায়, রামপাল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজলকুড় ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মইন উদ্দিন আক্তার হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বাবুল কাজী। তাকে রাজনৈতিকভাবে পুরষ্কৃত করা হচ্ছে কি না এ নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নিহত আক্তার চেয়ারম্যানের পরিবারের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করায় আমরা আতংকিত। এ বিষয়ে আছাফুর জামান বাবুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য ওই মামলায় জাড়ানো হয়েছে। আমি কিছুই জানিনা। উল্লেখ, গত ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় ভরসাপুর স্টান্ডে উজলকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মইন উদ্দিন আক্তারকে বোমা মেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দুই বছর পার হলেও বাগেরহাটের পিবিআই চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি। আবেদনকারী অন্যরা হলেন, ১নং গৌরম্ভা ইউনিয়নের আবেদন করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী গিয়াস উদ্দিন, মো. জুলহাস ইজারাদার, মো. জালাল উদ্দীন শেখ ও মো. রাজীব সরদার। ২নং উজলকুড় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী আক্তারুজ্জামান, হাওলাদার জুলফিকার আলি ভুট্টো ও মুন্সি বোরহান উদ্দিন। ৩নং বাইনতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ, শেখ মিজান আহম্মদ, মোসম্মৎ সায়েরা খাতুন, সরদার মুজিবুর রহমান, খান তায়েব আলী ও সৈয়দ শাহীন ইকবাল টিটো। ৪নং রামপাল সদরের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ বজলুর রহমান, মো. নাসির উদ্দীন হাওলাদার, আ. মান্নান শেখ ও আরাফাত হোসেন কচি। ৫নং রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার আ. হান্নান ডাবলু, রণজিৎ কুমার ঘোষ ও মাখন লাল সরকার। ৬নং হুড়কা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার, বিচিত্র বীর্য পাড়ে, গোকুল বিশ্বাস ও মনিরুজ্জামান গোলদার। ৭নং পেড়িখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল, হাওলাদার দেলোয়ার হোসেন, শেখ আ. মান্নান, ইজারদার ইকরামুল কবির কচি ও সিরাজুল আজম দারা। ৮নং ভোজপতিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ নূরুল আমীন, সাবেক চেয়ারম্যান তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু ও এস,এম মাইদুল ইসলাম মুুন। ৯নং মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তালুকদার নাজমুল কবির দিলাম, তালুকদার মুজিবর রহমান, সাব্বির তালুকদার ও বুলবুল আহম্মদ। ১০নং বাঁশতলী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী, হাওলাদার আবু তালেব, মো. এনামুল বাশার বাচ্চু ও মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। সূত্র জানায়, এর বাইরেও একাধিক ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হতে পারেন।