দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে। ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার জন্য ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করতে বলা হলেও সেখানে ‘ইনফরমেশন ট্র্যাকিংয়ের’ অভিযোগ উঠেছে গুগলের বিরুদ্ধে।
২০২০ সালের ৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তিনজন ব্যবহারকারী ইনফরমেশন ট্র্যাকিংয়ের অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলায় গুগলকে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করেছে আদালত।
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল মামলাটি খারিজের আবেদন করলেও আদালতের বিচারক লুসি কোহ তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ইনকগনিটো মোডে গোপনীয়তার কথা বলা হলেও ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করেছে গুগল। কিন্তু এ বিষয়ে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের অবহিত করা হয়নি।
তবে গুগল দাবি করছে, ব্যবহারকারীদেরকে তারা আগে থেকেই বলেছিলো যে ইনকগনিটো মোডেও ইনফরমেশন ট্র্যাকিং অ্যাক্টিভিটি রাখা হতে পারে।
গুগলের মুখপাত্র জোস ক্যাস্টানেডা এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ‘ক্রোমে ইনকগনিটো মোড ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাউজিংয়ের সময় ব্রাউজার বা ডিভাইসে ব্যবহারকারীর অ্যাক্টিভিটি রক্ষা করা সম্ভব। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করে কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলে ইনফরমেশন ট্র্যাকিং করে গুগল।’
চলতি মাসের শুরুতে গুগল বলেছে, তারা ইনকগনিটো মোডে ইনফরমেশন ট্র্যাকিং করবে না। এ সময় ক্রোম ব্রাউজারে ইনফরমেশন ট্র্যাকিংয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু ওয়েব ব্রাউজারে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও মোবাইল ভার্সনে ব্যবহারকারীর ইনফরমেশন ট্র্যাকিং করছে গুগল।