১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান এবং ধরনের যানবাহন বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন দেয়া হলেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে লেনদেন চলবে সীমিত আকারে।
কারণ, ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে জরুরি সেবা হিসেবেই দেখার কথা জানিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আগেই জানিয়েছে,ব্যাংক চালু থাকলে বন্ধ হবে না পুঁজিবাজারও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেছেন,‘ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ,মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে,কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।
৩ এপ্রিল লকডাউনে ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে এক সার্কুলার জারি করে এই নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবশ্য আরও একটু বেশি সময় খোলা থাকছে। সেগুলোতে লেনদেন চালু থাকছে বেলা দুইটা পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার সরকারের নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কীভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জাননো হবে।’
তবে পূর্ণাঙ্গ সময়ের জন্য না, ব্যাংকে লেনদেন সীমিত আকারে লেনদেন চালু রাখা হবে-এটি নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
আগামী ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস ও কল-কারখানা। চলবে না যানবাহনও।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।