চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগি, ব্লাক মেইলিং করা প্রতারক, নারী লোভী শহিন রহমান । শহিন রহমান খুলনা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাবসায়ী রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও ব্যাবসায়ীদের নামে ফেসবুকে কুৎসা রটিয়ে ফায়দা নেয়া যার নিত্য কারবার। বির্তকিত এরশাদ শিকদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগি শাহিন রহমানকে সম্প্রতি খুলনা সদর থানা পুলিশ ডিজিটাল আটক করে । আটককৃত প্রতারক নারী লোভী শহিন রহমানের বিরুদ্ধে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বাছিতুল হাবিব প্রিন্স ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় শহিন রহমান বিরুদ্ধে মামলা করেন । এই নিয়ে প্রতারক শহিন রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা হলো ৩টি । এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন থানায় মামলা ও অসংখ্য জিডি তার নামে রয়েছে ।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাছিতুল হাবিব প্রিন্সের অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার সকালে থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলার নম্বর হচ্ছে ১৬, তাং ২৮-০৮-১৯। জেল হাজতে থাকা শাহিন রহমানকে এ মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানোর আবেদন আদালতে পাঠানো হবে।
মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, গত ৬ আগস্ট শাহিন রহমান তার ফেসবুকের একটি পোস্টে লেখেন ‘খুলনা ৪ আসনের সাংসদ সালাম মুর্শেদী ৫ আগস্ট খুলনায় গিয়েছিলেন, নিজ অফিসেও বসেছিলেন। কিন্তু নির্যাতিতা ফিরোজারা ডাক পাননি, ঈদের পরে আন্দোলনে যাবার ঈঙ্গিত।’ এ পোস্টের মাধ্যমে তিনি সাংসদের মানহানি করাসহ তাকে আক্রমণ, মিথ্যা অভিযোগ ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এছাড়া ১০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার নিজ ফেসবুকের অপর এক পোস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাধী পেছনে রেখে নিজের তোলা ছবি পোস্ট করেছেন। এ ছবি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু, ধৃষ্টতাপূর্ণ ও জাতির পিতার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শণের সামিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে শাহীন রহমানের বিরুদ্ধে খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩টি মামলা রেকর্ড হয়েছে।
খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এস হাবির গত ৯ আগস্ট শাহীন রহমানের নামে একটি মামলা করেছেন। শাহীন রহমান নিজ ফেসবুক পেজে জায়গা-জমি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে এস এস হাবিকে নিয়ে আপত্তিকর একটি পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় এ মামলাটি করা হয়। যা খুলনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ও ৩১ ধারায় রেকর্ড হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, ফেসবুকে কুৎসা রটানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ২৩ আগস্ট শাহীন রহমানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে খুলনায় আনার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের পক্ষে সব ধরনের তথ্য প্রমাণ হাতে এসে গেছে। এখন এ মামলায় শাহীন রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরির কাজ চলছে।