সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা সোমবার , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দৌলতপুর বাজার রেলওয়ের অর্ধশত বস্তিবাসীর অনাহারে দিন যাপন | চ্যানেল খুলনা

দৌলতপুর বাজার রেলওয়ের অর্ধশত বস্তিবাসীর অনাহারে দিন যাপন

মহানগরীর দৌলতপুর উপশহরের কোলঘেষে দীর্ঘ ৩০ বছরের ও বেশি সময় ধরে সরকারী রেলওয়ের জায়গার উপর জণার্কীন কুটিরে দৌলতপুর কাঁচাবাজার সম্মুখ হতে মুহসীন রেলক্রসিং গেট পর্যন্ত বাস করে আসছে সমাজের সবচেয়ে তৃনমূল পর্যায়ের অবহেলিত বেশ কয়েকটি পরিবার। যার বর্তমান সংখ্যা সাতটি। এ সাতটি পরিবারে প্রায় অর্ধশত সদস্যদের নিয়ে কোন রকম বেঁচে আছে এই মানুষ গুলো। সম্প্রতি করোনার সংক্রমন ভয়াবহ আকার ধারণ করা শুরু করার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে দৌলতপুর বাজার রেলওয়ে অর্ধশত বস্তিবাসীর দিন কাটছে চরম অনিশ্চয়তায় আর অনাহারে। সমাজের বিত্তবান, বা পাশে বাজার উন্নয়ন সংস্থার নেতারা বা অন্যকোন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো খবর রাখেনি এই তৃনমূল অসহায় পরিবার গুলো কিভাবে দিন কাটাচ্ছে। এখানে বসবাসরত বস্তিবাসীরদের জীবন-জীবিকা দৌলতপুর পাইকারী কাঁচা বাজারের মালের বোঝা টানার উপর নির্ভর করে চলে। তবে লকডাউনের কারণে দৌলতপুর কাঁচা বাজারে দূরপাল্লার মালবাহী যানবহন কম আসার দরুন সবজী সরবরাহ কম, তাই এই বস্তির লোকগুলো বলতে গেলে পুরাপুরি বেকার। লকডাউন আর করোনার কারণে কাজ না থাকায় ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে চরম হতাশায় আর অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে জানালেন এখানকার বাসিন্দারা।
হামিদ মোল্লা (৬৫)। আজ দৌলতপুরে প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় বসবাস। বামহাত কাঁটা। একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় এই বস্তিতে বসবাস তার। এক সময় বাজারে ব্যবসা ছিল। ছেলে, ছেলের বউ, মেয়ে, জামাই, নাতি-নাতনী নিয়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা ১৭ জন। তবে ছোট ছেলে আলামিন এবার এইচ.এস.সি অটোপাশ দিলেও বাকি ছেলেরা সবাই যার যার মতো। তিনি জানান, কাজ না থাকার কারণে পরিবারে সদস্যদের নিয়ে খুব কষ্টে আর খেয়ে না খেয়ে একটি দিন পার করছি। ঘরে চাল, ডাল, কিছুই নেই। বাকিতে কিছু চাল এনে রান্না করে খাচ্ছি।
ছোট বেলা হতে এই বস্তিতে বসবাস করছে মাকসুদা। স্বামী সেলিম। বাজারে কাঁচামালের বোঝা টানে। ১ ছেলে, আর ১ মেয়ে। মাকসুদা জানান, কারোনার কারনে স্বামীর কাজ নাই। গাড়ী বন্ধ থাকায় বাজারে মাল আসে কম। বলতে গেলে আমার উনুনে আগুণ জ্বলছে না । ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। খুব কষ্টে আসি। সরকার আমাদের দিক একটু মুখ তুলে তাকাবে কবে? সামনে ঈদ। খেতেই পায়না, আর বাচ্চাদের নতুন কাপড় কিনে দেব কোথা হতে। তবে গত বছর করোনার সময়ে মোহাম্মদ স্যার পাঁচ কেজি চাল দিয়েছিল।
স্বামী পরিত্যাক্তা প্রতিবন্ধী মাহফুজা (৫৫) রেললাইনের পাশ ঘেঁষে ঝুপড়ি বেঁধে থাকে। তিনি কেবল প্রতিবন্ধী নন বরং ২ ছেলে আরো ১ মেয়েও প্রতিবন্ধী। এক কথায় একটি অচল পরিবার। নেই প্রতিবন্ধী কার্ড বা বিধবা ভাতা। করোনায় লকডাউনের কারণে তিনি না খেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। একই বস্তির বাসিন্দা নাসিরের স্ত্রী মাকসুদা, দেলোয়ার স্ত্রী, ছাত্র আলামিনসহ অনেকেই তাদের বর্তমানে অনাহারে দিন কাটানোর কথা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আমি ব্যক্তিগত ভাবে দৌলতপুর রেলওয়ে বস্তি বাসীর খোঁজ খবর নেয়। জানি তাদের খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। তাদের এই দুঃখ লাঘবের জন্য ঈদের আগেই ৭ কেজি করে চাল আর ১’শ করে টাকা দেওয়া হবে বলে জানান এ জনপ্রতিনিধি।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা মহানগর আরও সংবাদ

সোনাডাঙ্গায় অস্ত্র-গুলিসহ সন্ত্রাসী ডাবলু গ্রেপ্তার

‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়’ ধর্ম উপদেষ্টা

দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

খুলনায় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা মহানগরে ১০টি স্থানে ভর্তুকিমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি চলছে

খুলনায় জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।