রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
এর আগে তার বিদেশ যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোল্লা আবুল হাসান।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর গুলশান-২-এর একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় দায়ের করা আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামি ৩০ মে ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) মামলার এজাহার আদালতে যায়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তা গ্রহণ করে গুলশান থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মোসারাত জাহান (মুনিয়া) রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। এখানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
পুলিশ জানায়, মুনিয়া রবিবার তার বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন।
এ ঘটনায় রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে এই আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।