বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিশানবাড়িয়ার গুলিশাখালী গ্রামে জমিজমা বিরোধে একটি পরিবারকে হয়রানি। প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে কর্তনকৃত গাছের ডালপালা আত্মস্বাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানাগেছে, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামের মৃত. সেরজন আলী তালুকদারের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন তালুকদারের পৈত্তিক।
০২.০৯ একর সম্পত্তি একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত. করিম তালুকদারের পুত্র আবু সালেহ তালুকদার ও তার ভাই আবুল বাসার তালুকদার জোর পূর্বক ভোগ দখল করে।
উক্ত জমি সিমানা সংলগ্ন রফিজ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় শাখাওয়াত হোসেন তার পৈত্তিক জমিতে গাছ কেটে বিক্রি করার উদ্যোশে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাঁধা প্রয়োগ করে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকায় পরবর্তী সিমানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃনকৃত চাম্বল গাছের ডালপালা স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার পরপরই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারি মো. আবু সালেহ তালুকদার গত মঙ্গলবার দুপুরে শাখাওয়াত হোসেনের দাবিকৃত গাছের ডালপালা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ সময় তাকে বাঁধা দিলে বাঁধা উপেক্ষা করে শাখাওয়াত ও তার মাকে ভয়ভীতি দিয়ে গাছের কয়েকটি অংশের ডাল পালা নিয়ে যায় ওই প্রভাশালীরা।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। বিদ্যালয়ে ১৫৭ শতক সম্পত্তি থাকার কথা পাশর্^বর্তী প্রভাবশালীরা অনেক জমি বেদখল করে নিয়েছে। এখন আমার মধ্যে সে জমি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে। তিনি এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে আত্মসাৎকৃত গাছপালা ও হুমকি দেওয়ায় প্রতিকার চেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবু সালেহ তালুকদার ও তার ভাই আবুল বাশার তালুকদারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন রিপন বলেন, তদন্তদিন থাকা কর্তৃনকৃত গাছের ডালপালা তার বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারি আবু সালেহ তালুকদার নিয়েছে কিনা তিনি এ বিষয়ে অবহিত নয়। তাকে কোন কিছুই জানানো হয়নি।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারি আবু সালেহ তালুকদার বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে তাদের বিদ্যালয়ের কর্তনকৃত গাছের ডাল নিয়েছেন।