ঈদের সময় যদি মানুষ বিধিনিষেধ না মানে, তাহলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ফলে সংক্রমণ রোধে আমাদের সবার বিধিনিষেধ মানতে হবে। বিধিনিষেধ না মানলে ঈদের পর আরও কঠোর লকডাউন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। সেজন্য সেখানকার পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ভারতে প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। ভারতের ভ্যারিয়েন্ট আমাদের দেশের ছড়িয়ে যেতে পারে। ভয়টা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এটা আরও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশে যাতে এ অবস্থা না হয়, আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সেজন্য যে যেখানে আছেন, সেখানেই এবার ঈদ করবেন।
তিনি বলেন, গ্রামের তুলনায় আমাদের শহরগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে ঢাকা। ফলে সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরতেই হবে। না হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধিও শতভাগ মেনে চলতে হবে।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা চাই, কেউ কখনোই অপ্রয়োজনে বাইরে আসবেন না। যতদিন স্থায়ী সমাধান না আসে মানুষের অপ্রয়োজনে বাইরে আসার দরকার নেই। কেউ যখন প্রয়োজনে বাইরে আসবেন, তখন নিজের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে। না হলে তার আর্থিকসহ বিভিন্ন ক্ষতি হবে। সেজন্য মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। সহযোগিতা করলে, শতভাগ মাস্ক পরলে এবং সংক্রমণ কমে এলে আমরা সবকিছু স্বাভাবিক করে দিতে পারব।