আন্তঃজেলা ও নিজ শহরে গণ পরিবহন চালু হয়েছে বৃহষ্পতিবার থেকে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে মাস্ক পরিধান করে, নিরাপদ দূরত্ব বজায়ে রেখে চালাতে হবে পরিবহন। কিন্তু খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড থেকে কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর সহ বিভিন্ন জেলা বাস চলছে অবাধে। শুধু বাস নয় মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে মাওয়া ঘাট ও বরিশালে যাচ্ছে মাইক্রোবাস।
সকাল ০৯ টায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানার গেটে দাঁড়িয়ে মাইক্রোবাসে স্বাস্থ্যবিধির বালাই না মেনে গাদাগাদি করে মাইক্রোবাসে ওঠানো হচ্ছে লোক। তার পাশে দাঁড়িয়ে হেলপার হাঁক দিচ্ছে গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জ। থানার ওপর পাশ দিয়ে ছারছে সাতক্ষীরার গাঁড়ি। মাইক্রোবাসের যাত্রী মুস্তাফিজ বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, টিউশনিসহ অন্যান্য কারনে খুলনায় ছিলেন, ঈদের ছুটিতে বরিশাল গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।
গৃহিনী পারভীন ছোট বাচ্চা নিয়ে মাস্ক না পড়ে বসে আছেন মাইক্রোবাসের মুস্তাফিজের পিছনে, বলছেন খুলনায় স্বামীর সাথে থাকেন। বরিশাল শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছেন ঈদে। অপরএকজন যাত্রী সুমাইয়া বলেন, সবাই যাচ্ছে আমরাও যাচ্ছি, ঈদে শ্বশুর বাড়ি যাব না। তাদের দাবি সব কিছুই চলছে, সব কিছু ছেরে দেওয়া উচিত তাতে তাহলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে ভোগান্তি ভোগ করা লাগবে না।
এ্যাস কালারের ঢাকা মেট্রো-চ ৫১-৭৪৩২ নাম্বারের গাড়ির চালক ফরহাদুল হক বলেন, পুলিশ ধরে তারপরও মানুষ যাচ্ছে এই জন্য সে চালাচ্ছে।
থানার গেটের পাশেই রাখা ব্লু কালারের মাওয়া গামি মাইক্রোবাস যার নম্বর ঢাকা মেট্রো চ-১৩-০০৫৭ এর যাত্রী রুবেল বলেন প্রয়োজনে ঢাকায় যাচ্ছেন তিনি। এ জন্য অতিরিক্ত টাকা ব্যায়ে মাইক্রোবাসে রওনা দিয়েছেন। পিছনে বসা বয়স্ক একজন মুরব্বিকে সরকারের নির্দেশনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। গাড়ির চালক সাংবাদিক দেখে পাশে চেপে যাওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
একি অবস্থা বাস গুলোর। খুলনা কুষ্টিয়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে রাখা বসে। কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহর কথা বলে যাত্রী উঠলেও কাউন্টারে বসা ব্যাক্তি জানান তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সরকারের নির্দেশনা মত জেলার শেষ প্রান্তে যাত্রী পৌছে দিচ্ছেন।
একই অবস্থা গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা গামি বাস গুলোরও। এই সকল বাসের চালকদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা গাড়ি রেখে কথা না বলে চলে যায়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলীর নিকট ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে অভিযান চলছে না ম্যাজিষ্ট্রেট স্বল্পতার কারনে। বিকাল থেকে আবার শুরু হবে। অভিযান প্রতিদিন নিয়মিতই চলছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হকের কাছে এ বিষয় ফোনে জানানো হলে তিনি বলেন, আমি দেখছি , এমনতো হওয়ার কোন কথা ছিল না।এ বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক পক্ষের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।