ব্রিটিশ সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারীর প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মঙ্গলবার (১১ মে) বেলজিয়ামের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ মামলার ফলে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা গুনতে হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রয়টার্স জানায়, ইইউ অভিযোগ করে বলেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহের চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
মামলার প্রসঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আইনজীবী বলেন, এই মামলার তেমন কোনো প্রয়োজনই নেই। কারণ, ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি মামলা চলমান রয়েছে।
মামলার বিষয়ে বেলজিয়ামের আদালতে শুনানির সময় ইইউর আইনজীবী রাফায়েল জাফেরালি আরজি জানিয়ে বলেন, আদালত যেন অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে আগামী জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই ১২ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের আদেশ দেন।
ইইউর আইনজীবী আদালতে বলেন, টিকা সরবরাহে বিলম্বের কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উচিত আংশিক ও তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে জুন শেষ হওয়ার আগে ১২ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার আইনজীবী হাকিম বৌলারবাহ বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বছরের মাঝামাঝি নাগাদ ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী টিকার সবগুলো ডোজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহের বাধ্যবাধকতা অ্যাস্ট্রাজেনেকার নেই। কারণ, শর্তে বলা আছে, ওই পরিমাণ টিকা সরবরাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ‘যৌক্তিক সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা’ চালাবে।
শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর।
চুক্তি অনুযায়ী গত ডিসেম্বর থেকে আগামী জুন শেষ হওয়ার আগে ইইউকে ৩০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের কথা ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ৫ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পেরেছে। চুক্তির শর্তানুযায়ী এই পরিমাণ টিকা গত জানুয়ারি শেষ হওয়ার আগেই সরবরাহ করার কথা ছিল।
এর আগে গত এপ্রিলের শেষে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মামলা করে ইইউ। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহে বিলম্ব করেছে।
তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি করছে এই মামলা ভিত্তিহীন। কারণ, তারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আগামী জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।