খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারি উদাসীনতায় সময় মত উপকুলীয় টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে বিলিন হয়ে গেল দক্ষিণের জনপদ খুলনা-সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও আশাশুনির ১৬টি ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ মানুষের ফসল মৎস্য সম্পদ ও বাড়িঘর। বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচিয়ে পানিতে তলিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি ও কয়রা সদরে বাঁদ উপচিয়ে ও ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে সব তলিয়ে গেছে ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম। ৫/৭ হাজার মানুষ পানি বন্দি, ভেসে গেছে বহু মানুষের ঘর। আমাদি ইউনিয়ন ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বেড়ী বাঁধের দুই ফুট উপর দিয়ে পানি ডুকে ৫০/৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘেরের মাছ ও বাড়িঘর। পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের তিনস্থানে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গেছে। গদাইপুর, হিতামপুর, ও আকড়ঘাটা এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। লষ্কর ইউনিয়নের পারুলিয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করেছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর এলাকার আনুলিয়া ইউনিয়নের একসরা এলাকায় বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ৫টি গ্রাম তলিয়ে মৎস সম্পাদারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মানুষ এখন পানি বন্দি। প্রতাপ নগর ইউনিয়নের পাঁচস্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ১১টা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ৫/৬ হাজার মানুষ পানি বন্দি। কুড়ি কাহানিয়া, শুভদ্র কাটি ও রুয়ের বিলের পাঁচস্থানে বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে আশাশুনি ইউনিয়নের বালিয়াখালি এলাকার দুইস্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ৫ গ্রাম তলিয়ে গেছে। বন্যাতলায়ও বাঁধ ভেঙ্গেছে। শ্যামনগর উপজেলার গবুরা উপজেলার পাঁচস্থানে বাঁধ ভেঙ্গে সব তলিয়ে গেছে। এছাড়া পদ্ম পুকুর, বুড়ি গোয়ালিনি আটুলিয়া ও কাশিমাড়ি ইউনিয়নে বাঁধ উপচিয়ে জনবসতিতে পানি প্রবেশ করেছে। একই জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাকাশিয়ালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়ীবাঁধ ছাপিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পানি সম্পদ মন্ত্রি, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পদ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিদের সরেজমিন পরিদর্শন পুর্বক দুই জেলার ৫ উপজেলার পানিবন্দি লাখো মানুষের জন্য দ্রুত মানবিক সাহায্য প্রদানের আহবান জানিয়েছেন। একই সাথে একদিকে বেড়ীবাঁধ নির্মান, সেই সাথে খাদ্য ওষুধ ও খাবার পানি পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে সহায় সম্বলহীন বাস্তুহারা মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকার ও জনগণের প্রতি আহবান জানান এবং ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা শুরু দাবি জানান।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।-খবর বিজ্ঞপ্তি