দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের বামন ডাঙ্গা বিলে গরু চরানোকে কেন্দ্র করে মীর বংশ ও মোল্লা বংশের মধ্যে সংঘর্ষে দুই গ্রুপের তের(১৩)জন আহত।আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় গত২৯/০৫/২১ইং তারিখে বিকালে গাজীরহাটের বামন ডাঙ্গা বিলে গরু চরানোকে কেন্দ্র করে মোল্লা বংশ ও মীর বংশের লোকজনের মাঝে গ্যানজামের সূত্রপাত হয়।এঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে রাত ৮.৩০ টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে সোহেল মীর ও মাহাবুব মীর গুরুতর জখম হয়।তাৎক্ষনিক তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে দিঘলিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।কিন্তু পরবর্তীতে গতকাল সকাল হতে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। জানা যায় মোল্লা বংশের পার্শ্ববর্তী তেরখাদার বারাশাত ইউনিয়নের হরিদাসকাঠি গ্রামের মোল্লারা এক হয়ে মীর বংশের ওপর আক্রমন করে এতে করে উভয় পক্ষের লোক জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন জখম হয়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ১১-১২ ওয়ার্ডে ভর্তি হয় মোঃ মাহমুদ মীর (৫০),মোঃ সোহেল মীর (৩৭),সুমন মোল্লা(৩৫),মোঃ বাকি মোল্লা(৬০)।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোঃ মাহমুদ মীর এর অবস্থা বেশী খারাপ হলে ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।বাকীরা নজরুল মোল্লা(৬০),মোঃ আজিম মোল্লা(২৮),মোঃ ইমদাদুল শেখ(৪৫),মোঃ মোস্তাক মীর(৩০),মোঃ ফয়সাল মীর(১৮),সাকুল মীর(২৭),মোঃ নাঈম মীর(২০),তরিকুল ইসলাম মোল্লা(৪৫),মোঃ সাইফুল মীর(৩৫) পার্শবর্তী তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছন। বর্তমান দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রিপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে ঘটনা স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গতকাল খুলনা পুলিশের সহোকারী পুলিশ সুপার মোঃ রাজু আহম্মেদ,দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম,দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী,কালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কণি মিয়া,তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)মোশারেফ হোসেন ঘটনা স্থল পরিদর্ষন করেন।উল্লেখ্য গাজীরহাট ইউনিয়ন তেরখাদা ও কালীয়া থানার বর্ডার এলাকা।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায় গরু চড়ানো নিয়ে গ্যানজাম লোক দেখানো আসলে এলাকায় আধিপত্ব বিস্তার ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন,পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।কোনো পক্ষ মামলা দিলে মামলা নেওয়া হবে।কোনোপ্রকার তদবিরে মামলার কার্যক্রম ব্যাহত হবেনা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে।