ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শেষ হলেও তার রেখে যাওয়া স্মৃতি বহন করে চলেছে ক্ষতিগ্রস্থ কয়রার মানুষ এবং দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট। ইয়াসের তান্ডবে কপোতাক্ষ শাকবাড়ীয়া ও কয়রা নদীর লবণ পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় মাছ মরে পানি এখন দূগন্ধে পরিণত হয়েছে। গ্রামের রাস্তাঘাটে আশেপাশে মরা মাছ, হাস মুরগী, ব্যাঙ, সাপ ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ মরে পানি ভিন্ন রুপ ধারণ করায় গোসলেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তবে খাবার পানির বেশি সংকট দেখা দেওয়ায় অনেক গ্রামে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ভেলায়, নৌকায় অথবা ড্রাম ভাসিয়ে পানি আনতে দেখা যাচ্ছে।
এভাবে ড্রাম ভাসিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দিনের অর্ধেক সময় চলে যাচ্ছে। এদিকে ইয়াস পরবর্তী গত ৪ দিনে কয়রায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম একন পানির নিচে। তবে সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবুর আর্থিক সহযোগিতায় শনি ও রবিবার মঠবাড়ী ও দশালিয়া বেঁড়িবাঁধ স্থানীয়ভাবে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে জোয়ারের পানি বন্ধ করা হয়েছে। তিনি উক্ত বাঁধ দুটিতে বাঁশ, টিন, রশি, সহ সকল সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ করায় পানি আকটানো সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে খাবার পানির সংকটের বিষয়ে সংসদ সদস্য জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা সহ আগামী বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য তিনি ট্যাংকির ব্যবস্থা করবেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণ মঠবাড়ী, মহারাজপুর, ৪নং কয়রা, দশালিয়া, আটরা, গোবিন্দপুর, হোগলা, বায়লারহানিয়া, কলাপোতা, ফকিরপোতা, মাদাবাড়ীয়া, কালনা, মেঘারআইট, শিমলারআইট, জয়পুর, লোকা, গোবিন্দপুর, গাতির ঘেরি, হরিহরপুর, পদ্দপুকুর, বিনাপানি গ্রামে এই মহুর্তে খাবার সহ রান্নার পানির চরম সংকট চলছে। সূত্র জানায়, এর মধ্যে অনেক গ্রামে মিষ্ঠি পানির টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় এই মহুর্তে সে এলাকার মানুষও পানির সংকটে পড়েছে। এ বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল, পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের প্রিতিশ মন্ডল জানান, সেখানকার বেশিরভাগ নলকুপের পানি পানযোগ্য নয়। খাবার পানির উৎস পুকুর ডুবে যাওয়ায় সেখানে পানি নেওয়া সম্ভা হচ্ছে না। তারা বলেন, শুধু মানুষের খাবার পানির সংকট নয় গরু, ছাগল এবং হাস মুরগীর পানিও অতি কষ্টে সংগ্রহ করছে এলাকাবাসী।