খুলনার দাকোপে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। দ্বিতীয় ওয়েভে ২৪৮ পরীক্ষায় ৭৬ জন আক্রান্ত যা শতকারা হিসাবে ৩০.৬৫%। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রতিরোধ কমিটির সভায় স্বাস্থ্য বিধি মানতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভে উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ ক্রমেই ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা দাকোপে বর্তমানে আক্রান্তের হার অনেক বেশী। শনিবার পর্যন্ত উপজেলায় মোট ২৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছে মর্মে পরীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে। যা পরীক্ষার গড় হিসাবে শতকরা ৩০.৬৫% ভাগ। আর এ পর্যন্ত দাকোপে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭২ জন।
এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গেছে বলে সরকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা আরো বেশী।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে বর্তমানে উপজেলায় জ্বর,সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত অনেকেই। তবে তাদের মধ্যে অধিকাংশরাই করোনা পরীক্ষা করাতে আগ্রহী নয়। যেটি বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারনে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে তারই দপ্তরে রবিবার বেলা ১২ টায় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মর্তূজা খান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আকতার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদেরসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় কঠোরতা অবলম্বন এবং উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা এবং তাৎক্ষনিক করোনা পরীক্ষা, জনসমাগম কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, হাট ঘাট এবং অভ্যন্তরীণ গণপরিবহনকে স্বাস্থ্য বিধির আওতায় নিয়ে আসা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভায় পৃথকভাবে সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, গ্রাম পুলিশসহ সকল বিভাগের সমন্বয়ে পৃথক মনিটরিং কমিটি গঠনসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।