বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিয়ের এক মাসের মাথায় নববধু সাথী বিশ্বাসকে (১৯) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর পরকীয়ার দৃশ্য দেখে ফেলায় স্বামী ও তার প্রেমিকা মিলে এই হত্যা করেছে বলে (১৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যকালে সাথী বিশ্বাসের মা ও বোন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা হত্যার বিচার চেয়ে উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কানন বিশ্বাস বলেন,‘আমার মেয়ে সাথী বিশ্বাসকে (১৯) প্রায় চার মাস আগে চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অশোকনগর গ্রামের মৃত সুভাষ ম-লের ছেলে সুশেন কুমার ম-লের (২৫) সাথে বিয়ে দেই। পরে জানতে পারি, সুশেনের মাসতুতো (খালাতো) ভাই শ্যামল ম-লের স্ত্রী কনিনা ম-লের (৩৫) সাথে সুশেনের পরকিয়া প্রেম আছে। বিয়ের পরেও কনিকা প্রায়ই সুশেনের বাড়িতে যাতায়াত এবং সুশেনের সাথে দৃষ্টিকটুভাবে মেলামেশা করত। এর প্রতিবাদ করে সাথী বিশ্বাস। ফলে সুশেন সাথীকে প্রায়দিন গালিগালাজ ও শারিরীক নির্যাতন করে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৮ এপ্রিল ভোরে কনিকা সুশেনের বাড়ি আসে। সুশেন ও কনিকা অবৈধভাবে মেলামেশা করতে গেলে সাথী বাধা দেয়। ঝগড়া-ঝাটি শুরু হয়। ঝগড়া করতে করতে সাথী ঘর থেকে উঠোনে আসে। এক পর্যায়ে সুশেন ও কনিকা মিলে সাথীর পরনের কাপড় দিয়ে সাথীর গলায় পেঁচিয়ে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর সাথীর লাশ তারা ঘরের বারান্দার আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। পরে সুশেন ও কনিকা পালিয়ে যাবার সময় গ্রামবাসি তাদের ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সুশেন ও কনিকাকে জেল-হাজতে পাঠায়। সাথীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। আমরা থানায় সাথীকে হত্যার কথা বলি। কিন্তু পরে জানতে পারি থানায় আত্মহত্যা মামলা হয়েছে। সাথীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। সুশেন ম-ল ও কনিকা ম-ল জামিনে এসে আমাদের নানা হুমকি দিচ্ছে। আমরা সাথী হত্যাকা-ের বিচার চাই।’
কানন বিশ্বাসের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাথীর বোন শুক্লা পোদ্দার। সাথীর মা কানন বিশ্বাস বাগেরহাট সদর উপজেলার সাহসপুর গ্রামের বিকাশ বিশ্বাসের স্ত্রী।
অপরদিকে, মোবাইলে সুশেন বা কনিকার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।