আষাঢ়ের শুরুতেই ৩ দিনের থেমে থেমে টানা বৃষ্টিতে সমগ্র কয়রা উপজেলার লবণ পানির চিংড়ি ঘের ও মিটা পানির মাছের খামারসহ ভেসে কৃষকের ক্ষেতের শাকসবজি। এছাড়া ক্ষতি হয়েছে আম্পান ও ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তঘাটের সংস্কার কার্যক্রম। খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ ও উত্তর বেদকাশি, মহারাজপুর ও বাগালী ইউনিয়নের ছোট বড় লবণ পানির চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ায় অধিকাংশ ঘের মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ফলে ঘের মালিকরা কৃষকের কাছ থেকে হারি নেওয়া জমির টাকা অনেকেই পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবে। অন্যদিকে অতি বৃষ্টির কারনে অধিকাংশ কৃষকের ক্ষেতের বর্যাকালীন শাকসবজি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দেবে তরিতরকারির সংকট। মহারাজপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আঃ হালিম খোকন জানান. তার ৫ বিঘা ভিটায় ওল কচু, বেগুন, ডাটা ও পুইশাক. ঢেড়ষসহ গলদা চিংড়ি খামার ভেসে যাওয়ায় তিনি এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
অনুরুপ উত্তর মঠবাড়ী গ্রামে আছিরউদ্দীন গাজী, প্রিতিশ মন্ডলসহ বিভিন্ন গ্রামের একাধিক ঘের মালিক মুঠোফোনে জানান, চিংড়ি চাষের মাঝামাঝি সময় এবং এই সময়ে ঘের মালিকরা বেশি বেশি চিংড়ি ধরে থাকে। কিন্তু অতিবৃষ্টির পানিতে সকল চিংড়ি ঘের একাকার হয়ে যাওয়ায় চিংড়ীসহ সাদা মাছ বড় বড় খাল ধরে পানির স্রোতে স্লুইচ গেট দিয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। যে কারনে পানি কমার সাথে সাথে মাছও হারিয়ে যাবে। এ দিকে কি পরিমাণ চিংড়ি ঘের সহ মিঠা পানির মাছের কমার ভেসে গেছে তার সঠিক তথ্য এই মহুর্তে উপজেলা মৎস্য অফিসসহ অপর কোন সূত্র খেকেও জানা সম্ভব হয়নি। তবে মৎস্য অফিস জানায় সঠিক তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।