খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের আয়োজনে ‘দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনার আজ (রবিবার) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, করোনার মধ্যেও খুলনার উন্নয়ন কর্মকান্ড একইভাবে চলমান। পদ্মাসেতুর কাজ সম্পন্ন হলে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে যে জোয়ার সৃষ্টি হবে তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের জন্য খুলনার রূপসা এবং বটিয়াঘাটাতে দুইটি পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকায় বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য খুলনাতে আইটি পার্ক এবং শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান। জেলা প্রশাসক সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সুন্দরবন, রূপসা-ভৈরব নদী এবং উপকূলীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ইকোট্যুরিজম এর ব্যাপক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই প্রকল্প গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় অতিথিরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের নানা সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বলেন, উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে বাঁচতে হয়। তারা উপকূলীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের তাগিদ দেন। তারা উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবেশগত অভিযোজনকে বিবেচনায় নিতে বলেন। একই সাথে সাংবাদিকরা উন্নয়ন সংবাদ প্রচারে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন এবং খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মোঃ মাহবুব আলাম সোহাগ। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান মুফতি এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তথ্য অফিসার মোঃ মঈনউদ্দীন।
সেমিনারে খুলনার স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।