১৬ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ করোনার সংক্রমন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই করোনা টেষ্টের জন্য রোগীরা ভিড় করছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু করোনার পৃথক ইউনিট না থাকায় আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ রোগীরা ।
সরেজমিনে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রবেশ ফটকের ডান পাশে জরুরী বিভাগের পাশের রুমেই প্রায় ২ মাস যাবৎ চলছে করানোর রেপিট টেষ্ট। আর এর আশপাশেই সাধারণ রোগীরা স্বাস্থ্য বিধি তোয়াক্কা না করে চলাচল করছে। এ উপজেলায় সাড়ে ৪ লক্ষ লোকের বাস। প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে ভিড় করে এখানে। এ উপজেলায় করোনার প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশ বেড রয়েছে ৫ টি। যা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাতে গোনা ১০/১২ টি ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নত হলের বাড়েনি স্বাস্থ্য সেবার মান। ডাক্তার স্পল্পতাই এর মূল কারন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন মুফতিকে অধিকাংশ রোগী সামলাতেই হয়। প্যাথলজীর ২ টি পদ ৪/৫ বছর যাবৎ শূণ্য। এক্সরে বিভাগ বন্ধ। ইউপিআই টেকনিশিয়ান দিপক কুমার ও সিএইচসিপি ফারুক হোসেনকে করোনা ইউনিট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ইউপিআই টেকনিশিয়ান দিপক কুমার জানান, গত ২ মে থেকে মোড়েলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার রেপিট রেষ্ট শুরু হয়েছে। টেষ্ট দেয়ার আধা ঘন্টা কিংবা ১ ঘন্টার মধ্যে রেজাষ্ট পাচ্ছে রোগীরা। এর আগে খুলনা থেকে করোনা টেষ্ট করাতে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ লাগতো। এছাড়াও এ দুজনকে রোগীর সেম্পল আনতে বাড়িতে বাড়িতেও ছুটতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন মুফতি জানান, মে মাস ৩০ জুন পর্যন্ত ৪৩১ জনের করোনা টেষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে সনাক্ত হয়েছে ২৬৩ জন।