আজ সোমবার আবার ট্রাকে করে খুলনার দশটি স্থানে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বরিবার (৪ জুলাই) টিসিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান খুলনা গেজেটকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, টিসিবি’র ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের ডিলার পয়েন্টগুলোতে চিনি, মসুর ডাল, ও সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে এই কর্যক্রম শুরু হয়ে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে ঈদের পাঁচ দিন সরকারি ছুটি রয়েছে।
টিসিবি’র ট্রাক থেকে চিনি প্রতিকেজি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল প্রতিকেজি ৫৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল ১শ’ টাকায় বিক্রি করা হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও চার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবেন।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও জানান, সোমবার খুলনার যে দশটি পয়েন্ট পণ্য বিক্রি করা হবে সেগুলো হলো, গল্লামারী, এম এ বারী সড়ক, নিরালার মোড়, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা কলেজিয়েট গার্লস কলেজ এন্ড স্কুল, জাতি সংঘ শিশুপার্ক, সোনাডাঙ্গা মদিনা মসজিদ, দৌলতপুর শহীদ মিনার, শিরোমনি বাজার ও খালিশপুর লাল হাসপাতাল মোড়। পরবর্তীতে স্থান পরিবর্তন হতে পারে। প্রতিটি ট্রাকে চারশ’ কেজি মসুর ডাল, পাঁচশ’ কেজি চিনি ও আটশ’ কেজি তেল দেওয়া হবে।
এদিকে সোমবার থেকে সারাদেশে জরুরি সেবা হিসেবে ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। কঠোর লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে এবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
দেশব্যাপী ৪৫০ জন ডিলারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা মহনগরীতে ৭৫টি ও জেলা-উপজেলায় ৪৭টি, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ও জেলা-উপজেলায় ২৩টি, রংপুর মহানগরীতে ১০টি ও জেলা-উপজেলায় ২৪টি, ময়মনসিংহে মহানগরীতে আটটি ও জেলা-উপজেলায় ৩০টি, রাজশাহী মহানগরীতে ১০টি ও জেলা-উপজেলায় ১৭টি, খুলনা মহানগরীতে ১০টি ও জেলা-উপজেলায় ২০টি, বরিশাল মহানগরীতে ছয়টি ও জেলা-উপজেলায় ২০টি, সিলেট মহানগরীতে ছয়টি ও জেলা-উপজেলায় ১৯টি, বগুড়া জেলায় ছয়টি ও অন্যান্য উপজেলায় ২৩টি, কুমিল্লায় ছয়টি ও অন্যান্য উপজেলায় ২৮টি, ঝিনাইদহে দুইটি ও অন্যান্য উপজেলায় ২০টি, মাদারীপুরে দুইটি ও অন্যান্য উপজেলায় ১৮টি করে ট্রাক থাকবে।
ডিলারদের বিক্রির জন্য নির্ধারিত স্থান ছাড়া বিক্রি করলে তার ট্রাকসেল বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত করে ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।
বিভাগীয় শহরে টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকসেল সম্ভব না হলে টিসিবি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেল পরিচালনা করবে। প্রত্যেক ডিলার একদিনের বেশি পণ্য নিতে পারবে না। তবে এবার ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেল ডিলারদের একদিনের বরাদ্দ আগের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। বেশি বরাদ্দ দেওয়া ও সরবরাহ করার জন্য টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ক্যাম্প অফিস প্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছে টিসিবি।
টিসিবি পণ্য বিক্রি করতে ডিলারদের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেল কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে। এ জন্য সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সার্জেন্টদের সহযোগিতা করতে নির্দেশনা দিতে পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।