‘ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে ভাবছি না, আমার লক্ষ্য শিরোপা জয়’- আসরজুড়ে এ কথাটি বেশ কয়েকবার বলেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর এটি বাস্তবায়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেয়ার পণ নিয়েই প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে তিনি। রবিবার সকালে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে গোল-অ্যাসিস্ট পাননি মেসি। তবে শিরোপা জিততে মরিয়া দেখা গেছে ম্যাচজুড়েই।
তবে প্রথমার্ধে যতটা উজ্জীবিত ও ক্ষিপ্র দেখা গেছে মেসিকে, দ্বিতীয়ার্ধে সে তুলনায় খানিক নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন তিনি। এমনকি ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। এর কারণ মূলত পায়ের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। কোপার শেষ দুটি ম্যাচ ইনজুরি নিয়েই খেলেছেন মেসি।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের ৪৭ মিনিটের সময় কড়া ট্যাকল করা হয়েছিল মেসির গোড়ালিতে। তৎক্ষণাৎ রক্ত ঝরতে থাকে সেই গোড়ালি থেকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রক্তঝরা পা নিয়েই ম্যাচের বাকি অংশ ও পরে টাইব্রেকার খেলেছেন মেসি। সেই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে যায় আর্জেন্টিনা।
আর আজ ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে পেয়েছে অধরা শিরোপা স্বাদ। ফাইনাল জেতার পর সংবাদ মাধ্যমে মেসির ইনজুরির কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি বলেছেন, ‘কলম্বিয়া ও ব্রাজিলের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা নিয়েই পুরো ম্যাচ খেলেছে মেসি।’
এ সময় এবারের কোপায় নিজেদের পুরো যাত্রা নিয়েও কথা বলেছেন স্কালোনি। তার মূল্যায়ন, ‘এটা খুবই কঠিন কোপা আমেরিকা ছিল। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির বিষয় হলো এটি আমরা জিতেছি।’
ফাইনাল ম্যাচের একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। যেগুলো কাজে লেগেছে দারুণভাবে। তবে এর কৃতিত্ব নিতে নারাজ স্কালোনি, ‘আমি বিশ্বাস করি, যে কোনো কোচই এ পরিবর্তনগুলো করতো। ছেলেরা যতবার মাঠে নেমেছে, নিজেদের সেরাটা দিয়েই বের হয়েছে।’