করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ সোমবার (১৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই সুরক্ষা অ্যাপে বয়সসীমা কমিয়ে ৩০-এ রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে।’
করোনার সংক্রমণ প্রতিষেধক এ টিকার আওতায় দেশের অধিক সংখ্যক জনগণকে আনার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে গত ৫ জুলাই করোনার টিকার বয়স ৩৫ বছর করা হয়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় তা কমিয়ে ৩০ বছর করা হলো।
দেশে টিকা নিবন্ধনের শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে সময় ৫৫ থেকে বয়স কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়। এরপর ২য় দফায় কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় টিকা গ্রহীতাদের বয়স কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় এবার তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করছে। বর্তমানে দেশে চার ধরনের (কোভিশিল্ড, ফাইজার, মর্ডানা ও সিনোফার্ম) টিকাদান কর্মসূচি চলছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকা প্রদান অন্যতম পদক্ষেপ বলে জানান তারা।